পশ্চিমাদের অদূরদর্শী নীতির কারণে খাদ্য সমস্যার সৃষ্টি: পুতিন

ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: তাস

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন তাদের খনিগুলোর বন্দর পরিষ্কার করে এবং বারদিয়ানস্ক ও মারিউপোলের মতো নিয়ন্ত্রিত বন্দরের মাধ্যমে রপ্তানি নিশ্চিত করলে রাশিয়া ইউক্রেনীয় শস্য বহনকারী জাহাজ নির্বিঘ্ন চলাচলের নিশ্চয়তা দেবে।

রুশ বার্তা সংস্থা তাসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পুতিন এক রুশ গণমাধ্যমকে জানান, কিয়েভ স্থলপথেও শস্য রপ্তানি করতে পারে। সবচেয়ে যৌক্তিক পথ হল বেলারুশ। তবে রাশিয়া থেকে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে।

পুতিনের মতে, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বিশ্বব্যাপী খাদ্য বাজারে সমস্যা শুরু হয়েছে। পশ্চিমাদের অদূরদর্শী নীতির কারণে এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।

বিশ্ব বাজারে খাদ্য সমস্যার কথা বলতে গিয়ে পুতিন উল্লেখ করেন, 'ইউরোপীয় দেশগুলোর অদূরদর্শী নীতি এবং ইউরোপীয় কমিশনের কারণে প্রথমত এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। আমরা সেখানকার উন্নয়নের দিকে নজর রাখছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের অনেক রাজনৈতিক শক্তি জলবায়ু অবস্থা, জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে প্রাকৃতিক উদ্বেগ সম্পর্কে অনুমান করতে শুরু করেছে। জ্বালানি খাতসহ সবুজ এজেন্ডাপ্রচার শুরু করেছে।'

'ইউরোপের দেশগুলোতে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহের দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি হয়েছে। আমরা সেই চুক্তি বহাল রাখার জন্য দৃঢ় অনুরোধ করেছি। কিন্তু আমাদের অনুরোধের প্রতি তারা কর্ণপাত করেনি। সেগুলো বন্ধ করতে শুরু করেছে। অনেকগুলো এখনো বলবৎ আছে। সেগুলোও বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। এটি ইউরোপীয় জ্বালানি বাজারের নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। দাম বাড়তে শুরু করেছে,' তিনি যোগ করেন।

পুতিন বলেন, রাশিয়া ইউক্রেন থেকে শস্য রপ্তানিতে বাধা সৃষ্টি করে না এবং এটি কৃষ্ণ সাগরের বন্দর ও প্রতিবেশী দেশগুলোর মাধ্যমে করা যেতে পারে। ইউক্রেনের শস্য রপ্তানির ক্ষেত্রে আমরা বাধা সৃষ্টি করি না।

এ ধরনের শস্য রপ্তানির বিভিন্ন উপায় আছে বলে উল্লেখ করেন পুতিন। এটি খনি ছাড়পত্রের পরে ইউক্রেন নিয়ন্ত্রিত বন্দরগুলোর মাধ্যমে করা যেতে পারে। বারদিয়ানস্ক এবং মারিউপোলের মাধ্যমে, দানিউব নদী এবং রোমানিয়া, হাঙ্গেরি এবং পোল্যান্ডের মাধ্যমে এবং সবচেয়ে সহজ উপায়টি বেলারুশের মাধ্যমে করা যেতে পারে। পুতিন বলেন বেলারুশ থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা প্রয়োজন।

রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা বিশ্ব বাজারের পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করবে। বিশ্বব্যাপী সারের দাম বেড়ে যাবে। যা ফসল উৎপাদনে প্রভাব বিস্তার করবে। ফলে ফসলের দাম বাড়তে থাকবে। নতুন বিধিনিষেধ একটি সম্পূর্ণ অদূরদর্শী, ভুল সিদ্ধান্ত। আমি বলব, কেবল একটি নির্বোধ নীতি যা ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়, তিনি যোগ করেন।

Comments

The Daily Star  | English

Admin getting even heavier at the top

After the interim government took over, the number of officials in the upper echelon of the civil administration has become over three times the posts.

11h ago