মূল্যস্ফীতি ৬০ শতাংশ: আর্জেন্টিনার অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগ
আর্জেন্টিনার অর্থমন্ত্রী মার্টিন গুজমানের পদত্যাগে দেশটিতে অর্থনৈতিক সঙ্কট আরও ঘনীভূত হয়েছে।
আজ যুক্তরাজ্যের সংবাদ মাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, মার্টিন গুজমান গতকাল শনিবার পদত্যাগ করেন।
২০১৯ এর শেষের দিকে অর্থমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পান মার্টিন গুজমান। তিনি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে আর্জেন্টিনার দেনা পুনঃতফসিলীকরনের আলোচনায় নেতৃত্ব দেন।
তিনি তার উত্তরসূরি নির্ধারণের জন্য ক্ষমতাসীন জোটের মধ্যে রাজনৈতিক মতৈক্যের আহ্বান জানান।
নান্দনিক ফুটবলের জন্য বিখ্যাত দক্ষিণ আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনার জনগোষ্ঠী ৬০ শতাংশ মূল্যস্ফীতি, দুর্বল মুদ্রা, বৈশ্বিক খাদ্য ও জ্বালানী মূল্যবৃদ্ধি সহ বিভিন্ন সমস্যায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
প্রায় ১ সপ্তাহ ধরে দেশে অর্থনৈতিক অস্থিরতা চলতে থাকলে অর্থমন্ত্রী গুজমান পদত্যাগ করেন। এ সময় ডলারের বিপরীতে আর্জেন্টিনার মুদ্রা পেসোর দাম ক্রমাগত কমেছে।
গুজমানের বিদায়ে আর্জেন্টিনার ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক নীতিমালা নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট আলবের্তো ফার্নান্দেজের কাছে দেওয়া চিঠিতে গুজমান সরকারের ভেতরে অভ্যন্তরীণ কোন্দলের দিকে ইঙ্গিত করেন।
বিশ্লেষকদের মতে, দেশের অর্থনৈতিক সমস্যার মোকাবিলার কৌশল নিয়ে প্রেসিডেন্ট ফার্নান্দেজের সঙ্গে ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা ফার্নান্দেজের মতৈক্য রয়েছে।
বেশ কিছুদিন ধরে ক্রিসটিনা ফার্নান্দেজ তার নিজ সরকারের অর্থনৈতিক নীতিমালার সমালোচনা করে বক্তব্য দিচ্ছেন।
ক্রিসটিনা নিজেও ২০০৭ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত দেশের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তার মতে, দেশের সরকার আর্জেন্টিনার সাধারণ জনগণের আর্থিক বোঝা কমাতে ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি এবং তার সমর্থকরা মনে করেন, অর্থমন্ত্রী গুজমান বাজেট ঘাটতি দূর করা এবং আর্থিক নীতিমালাকে আরও শক্তিশালী করার দিকে অত্যধিক নজর দিয়েছেন।
ভাইস প্রেসিডেন্টের মতাদর্শ মেনে চললে, আগামী অর্থমন্ত্রী দেশের অর্থনীতিতে সরকারের হস্তক্ষেপ বাড়াবেন এবং আর্থিক নীতিমালার ওপর নজর কিছুটা কমে আসবে। ফলে আইএমএফের ঋণ পরিশোধের বিষয়টি কিছুটা হলেও গুরুত্ব হারাবে।
ইতোমধ্যে আর্থিক বিশ্লেষকরা আর্জেন্টিনার ৪৪ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি ঋণ আদায়ে আরও কঠোর উদ্যোগ না নেওয়ায় আইএমএফের সমালোচনা করছেন।
Comments