প্যান্ডোরা পেপার্স: অর্থ কেলেঙ্কারিতে কয়েক শ কানাডিয়ানের নাম

প্যান্ডোরা পেপার্সে কানাডার শীর্ষ ব্যক্তিরা। ছবি: টরোন্টো স্টার থেকে নেওয়া

বিশ্বের সবচেয়ে কম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের গত বছরের তালিকায় কানাডার অবস্থান ছিল ১১তম। এমন দেশেও আর্থিক কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত মানুষের সংখ্যা নেহাৎ কম নয়।

ওয়াশিংটন ডিসির ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টসের (আইসিআইজে) প্রকাশিত 'প্যান্ডোরা পেপার্স'-এ শত শত কানাডিয়ানের আর্থিক অনিয়মের চিত্র উঠে এসেছে।

গতকাল কানাডার টরোন্টো স্টার সংবাদমাধ্যম জানায়, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ও প্রভাবশালী রাজনীতিক, ব্যবসায়ী ও তারকাদের গোপন সম্পদ, কর ফাঁকি, অর্থ পাচার ও কালো টাকা সাদা করার তথ্য সম্বলিত প্রায় ১২ মিলিয়ন ফাঁস হওয়া নথিতে শত শত কানাডিয়ানের মধ্যে রয়েছেন দেশটির দ্বিতীয় শীর্ষ ধনী ব্যক্তিও।

এ ছাড়াও, এ তালিকায় রয়েছে কানাডার শীর্ষ পর্নো প্রতিষ্ঠানের সহ-প্রতিষ্ঠাতা, ফ্যাশন মুঘল ও অলিম্পিক বিজয়ী খেলোয়াড়ের নাম।

১৪টি উৎস থেকে পাওয়া এই নথিগুলো নিয়ে গত কয়েক মাস ধরে কাজ করেছেন ১১৭টি দেশের প্রায় ৬০০ সাংবাদিক। এ কাজের সঙ্গে ছিলেন কানাডার টরোন্টো স্টার ও সিবিসির সাংবাদিকও।

টরোন্টো স্টার'র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফাঁস হওয়া নথিগুলো পর্যালোচনা করে দেখা যাচ্ছে অর্থ কেলেঙ্কারির তদন্ত ও দোষীদের বিচারের সম্মুখীন করার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিকভাবে কানাডার অবস্থান পেছনের সারিতে।

এতে আরও বলা হয়েছে, কানাডার রেভিনিউ এজেন্সি দেখেছে যে প্রতি বছর ধনী কানাডিয়ানরা প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচার করছেন। প্রতি বছর কর ফাঁকি দেওয়া হচ্ছে প্রায় ১৫ বিলিয়ন ডলার। এ সব ছাড়াও, আর্থিক অনিয়মের মধ্যে রয়েছে আরও প্রায় সাড়ে ১১ বিলিয়ন ডলার।

কানাডিয়ান ফর ট্যাক্স ফেয়ারনেস প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক টবি স্যাঙ্গার গণমাধ্যমকে বলেন, 'এই পরিমাণ অর্থ দিয়ে কানাডার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের খরচ মেটানো যেত। এই পরিমাণ অর্থ দিয়ে দেশের সব শিশুর যত্ন নেওয়া যেত।'

তিনি আরও বলেন, এসব কাজ কতটা আইন মেনে হয়েছে তা বড় প্রশ্ন নয়, বড় প্রশ্ন হচ্ছে এগুলো কতটা নৈতিক।

Comments