অস্ট্রেলিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ ইংরেজি ভাষাভাষী নন
অস্ট্রেলিয়ার ৩১তম প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন লেবার নেতা অ্যান্থনি আলবানিজ। তিনিই হবেন অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে অ্যাংলো-কেল্টিক পটভূমির বাইরে প্রথম প্রধানমন্ত্রী।
অ-ইংরেজি ভাষাভাষী ব্যাকগ্রাউন্ডের আলবানিজ বলেছেন, বহুসংস্কৃতির অস্ট্রেলিয়ার জন্য এটি বড় জয়৷
এটি এমন কৃতিত্ব যে তিনি আশা করেন 'বহু সাংস্কৃতিক অস্ট্রেলিয়াকে বার্তা পাঠাবে যে আপনি এই দেশে কিছু অর্জন করতে পারেন।'
নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী তার নির্বাচনী প্রচারণার সময় নিয়মিতভাবে নিজের শৈশবের কথা বলেছেন। সিডনি শহরতলীর ক্যাম্পারডাউনের পাবলিক হাউজিংয়ে তার মা মেরিয়েন তাকে বড় করেছেন।
অস্ট্রেলিয়ায় 'পাবলিক হাউজিং' রাজ্য সরকারের বিভাগ দ্বারা সরবরাহ করা হয়। কমনওয়েলথ-স্টেট হাউজিং চুক্তির কাঠামোর মধ্যে কাজ করে। এখানে বাস করেন ডিভোর্সি নারী, বেকার, অসহায় অভিবাসী। মূলত গৃহহীনদেরকেই এখানে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়।
অ্যান্থনি আলবানিজের মা ছিলেন ইতালিয়ান বংশোদ্ভূত অভিবাসী।
আলবানিজ তার জয়ের পর জাতির উদ্দেশ্যে বলেন, 'আমাদের মহান বহুসংস্কৃতির সমাজের মধ্যে আমরা বিশ্বের প্রাচীনতম জীবন্ত অবিচ্ছিন্ন সংস্কৃতিকে গণনা করি।'
তিনি আরও বলেছেন, 'অস্ট্রেলিয়ার জনগণ পরিবর্তনের পক্ষে ভোট দিয়েছে। আমি এই বিজয়ে বিনীত ও অস্ট্রেলিয়ার ৩১তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ করার সুযোগ পেয়ে সম্মানিত।'
আলবানিজ তার বিজয়ে আয়োজিত সভায় নিজের অতীত জীবনের কথা স্মরণ করে বলেন, 'আমি আশা করি, এখানে পাবলিক হাউজিং পরিবারের অনেকেই উপস্থিত আছেন। আজকের এই রাতে আমি চাই প্রত্যেক অভিভাবক যেন তাদের সন্তানকে বলতে পারেন যে আপনি যেখানেই থাকুন বা যেখান থেকে আসুন না কেন, অস্ট্রেলিয়ায় সুযোগের দরজা আমাদের সবার জন্য উন্মুক্ত।'
আলবানিজের মা মেরিয়ান প্রতিবন্ধী সহায়তা পেনশনের ওপর নির্ভরশীল ছিলেন এবং আলবেনিজ ছোটবেলা থেকেই নানান কাজ করে সংসার চালিয়েছেন।
অ্যান্থনি আলবানিজ জানতেন যে তার বাবা কার্লো একটি ইউরোপীয় ক্রুজে তার মায়ের সঙ্গে কয়েক বছর কাটানোর পর মারা যান। পরে জানতে পারেন যে তিনি জীবিত এবং ইতালিতে থাকেন।
২০০১ সালে মায়ের মৃত্যুর পর আলবানিজ ইতালি ভ্রমণের সময় সংক্ষিপ্তভাবে তার বাবার সঙ্গে দেখা করেন।
গত বুধবার আলবেনিজ অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভাষণে বলেছিলেন, তিনি বিশ্বাস করেন তার বিজয় আধুনিক অস্ট্রেলিয়ার বহুসংস্কৃতির অলৌকিক ঘটনা।
আকিদুল ইসলাম: অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখক, সাংবাদিক
Comments