৬ দফা দাবিতে গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির বিক্ষোভ

দ্রব্যমূল্য কমানো, মজুরি বোর্ড গঠন, মহার্ঘ্য ভাতা প্রদান, মজুরি আন্দোলনে হামলা-মামলা বন্ধসহ ৬ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি।
ছবি: সংগৃহীত

দ্রব্যমূল্য কমানো, মজুরি বোর্ড গঠন, মহার্ঘ্য ভাতা প্রদান, মজুরি আন্দোলনে হামলা-মামলা বন্ধসহ ৬ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি।

'দ্রব্যমূল্য কমাও, জান বাঁচাও' স্লোগানে আজ শুক্রবার গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। 

গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সকাল ১১ টায় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপ্রধান তাসলিমা আখ্তার, সাধারণ সম্পাদক জুলহাস নাইন বাবু, সহ সাধারণ সম্পাদক অঞ্জন দাস, কেন্দ্রীয় নেতা বাবুল হোসেন, জিয়াদুল ইসলাম, রুপালী আক্তার ও আরশাদুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতারা।

সমাবেশে নেতারা বলেন, 'সারাদেশে লাগামছাড়া দ্রব্যমূল্য দেশবাসীর জীবন বিপর্যস্ত করে তুলেছে। এই অবস্থায় পোশাক শ্রমিকসহ শ্রমজীবী মানুষ সবচেয়ে দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে। মালিকদের আয়, অর্ডার ও রপ্তানি আয় বাড়লেও বাড়ছে না শ্রমিকের শ্রমের দাম। তাই এ সময়ের জরুরি দাবি হিসেবে অবিলম্বে মজুরি বোর্ড গঠন করার দাবি অনিবার্যভাবে সামনে এসেছে। এ দাবিকে অগ্রাহ্য করার কোন সুযোগ নেই।'

তারা আরও বলেন, 'মিরপুরসহ বিভিন্ন অঞ্চলে বাজারের বেহাল দশায় দিশেহারা শ্রমিকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে টানা কয়েকদিন ধরে আন্দোলন করেছে। এই আন্দোলনে তাদের দাবি বিবেচনায় না এনে উল্টো নির্যাতন, হামলা ও গ্রেপ্তারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। অবিলম্বে মিরপুর ও উত্তরায় গ্রেপ্তারদের মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাই।'

'শ্রমিক বাঁচলে পোশাক খাতে অগ্রগতিও অব্যাহত থাকবে। তা না হলে শ্রমিকের বিক্ষুব্ধ হওয়া স্বাভাবিক। এর মধ্যে উন্নয়ন বিরোধিতা বা ষড়যন্ত্রের থিওরি চাপানোর অর্থ শ্রমিকদের ন্যায্য দাবিকে অগ্রাহ্য করা ছাড়া কিছু না', যোগ করেন তারা।  

গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির পক্ষ থেকে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ৬ দফার আন্দোলন বাস্তবায়ন করার আহ্বান জানান তারা।

এ ৬ দফা দাবি হচ্ছে—অবিলম্বে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য শ্রমিকের ক্রয়ক্ষমতায় আনতে হবে, মিরপুর-উত্তরাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে মজুরি আন্দোলনকারীদের হামলা-মামলা-গ্রেপ্তার বন্ধ করতে হবে, অবিলম্বে মজুরি বোর্ড গঠন করে নতুন মজুরি নির্ধারণ করার উদ্যোগ নিতে হবে,  শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার করতে হবে ও পোশাক শ্রমিকের জীবন-জীবিকার মান নিশ্চিতের দায় মালিক, সরকার ও বায়ার ৩ পক্ষকেই নিতে হবে, নতুন মজুরি কার্যকর হবার আগ পর্যন্ত মহার্ঘ্য ভাতা ও শ্রমিকদের রেশনিং অধিকারের আওতায় আনতে হবে এবং জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা নির্ধারণের উদ্যোগ নিতে হবে।

Comments

The Daily Star  | English
PM Sheikh Hasina

Govt to seek extradition of Hasina

Prosecutors of the International Crimes Tribunal have already been appointed and the authorities have made other visible progress for the trial of the ones accused of crimes against humanity during the July students protest

51m ago