সাভার পৌর মেয়র ও ইউএনওকে নদী-খালে বর্জ্য ফেলা বন্ধের নির্দেশনা
আগামী ১ মাসের মধ্যে সাভার পৌরসভার নদী ও বিভিন্ন খালে বর্জ্য ফেলা বন্ধ করতে যথাযথ উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী। তিনি সাভার পৌর মেয়র ও সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) এ নির্দেশ দেন।
আজ সোমবার দুপুরে সাভার উপজেলা হল রুমে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ নির্দেশনা দেন তিনি।
জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী আলোচনা সভায় উপস্থিত ব্যক্তিদের সাভারের নদী-খাল দূষণ ও দখলের কারণে নাগরিকদের ভোগান্তি নিয়ে বক্তব্য শোনেন। পরবর্তীতে সাভার পৌর এলাকার বিভিন্ন স্পটে পৌর বরজ ফেলার কয়েকটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
তবে, ভিডিও চিত্র দেখে পৌর মেয়র দাবি করেন, তিনি এই বর্জ্য ফেলার বিষয়ে কিছুই জানেন না।
এসময় ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী বলেন, 'আমাদের অফিসের স্টাফরা গত ২ সপ্তাহ ঘুরে এই ভিডিও চিত্রগুলো ধারণ করেছেন। সেখানে প্রমাণিত হয়েছে পৌরসভার বর্জ্যগুলো নদীতে ফেলে নদী দূষণ করা হচ্ছে। যেহেতু পৌরসভার মেয়র দাবি করছেন তারা ময়লা নদীতে ফেলেন না, সেক্ষেত্রে তার দাবি আমরা মেনে নিলাম। তবে, পৌর এলাকায় দূষণ হলে সেটি দেখার দায়িত্ব কার? পৌর মেয়রের, ইউএনওর। নদী খাল দূষণ বন্ধে আপনারা কী ব্যবস্থা নিয়েছেন? আগামী ১ মাসের মধ্যে নদী ও খালে বর্জ্য ফেলা পুরোপুরি বন্ধ করতে হবে। আপনারা এটি বন্ধ করবেন। তা নাহলে আমি এই ইস্যুটি জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরব।'
তিনি আরও বলেন, 'বর্তমানে সাভারের পানি দূষিত, মাটি দূষিত। বসবাসের অযোগ্য নগরীতে পরিণত হয়েছে এই সাভার। বলা হচ্ছে কলকারখানাগুলো নদী খাল দূষণের পাশাপাশি ইনজেক্টের মাধ্যমে বর্তমানে তরল বর্জ্য মাটির তলদেশে রিলিজ করছে।'
সাভার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক গোবিন্দ আচার্য বলেন, 'রাজধানীর ঢাকার বর্জ্য সাভারের বলিয়ারপুরের ডাম্পিং ইয়ার্ডে ফেলা হচ্ছে। সিটি করপোরেশনের ডাম্পিং ইয়ার্ড নির্মাণ করা হয়েছে সাভারে, কিন্তু সাভার পৌরসভার বর্জ্য ফেলার জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না। পৌরসভার নিজস্ব কোনো ডাম্পিং ইয়ার্ড নেই। যত্রতত্র ময়লা ফেলে হচ্ছে। পৌর ভবনের পাশে ময়লা রাখা হয়। পৌর সেবা গ্রহীতারা প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।'
Comments