শিমুলিয়া এড়িয়ে যাত্রীদের পাটুরিয়া ঘাট ব্যবহারের অনুরোধ নৌপ্রতিমন্ত্রীর
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, 'ঈদের আর ২ দিন বাকি। বিজিএমইএ'র সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গার্মেন্টস বন্ধ হয়ে যাবে। বিকেলের পর থেকে যাত্রীদের চাপ শুরু হবে। এখনো যাত্রীদের অনুরোধ করছি, শিমুলিয়াঘাট এড়িয়ে পাটুরিয়া ঘাট ব্যবহার করুন। পাটুরিয়া ঘাটে আমাদের যথেষ্ট প্রস্তুতি আছে। শিমুলিয়া ঘাটে সীমিত প্রস্তুতি। ভারী যানবাহন পার হচ্ছে না এ নৌপথ দিয়ে। শুধু হালকা গাড়ি পার হচ্ছে।'
আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টায় মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়াঘাটের ৩ নম্বর রো রো ফেরিঘাট পরিদর্শনের সময় নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেছেন।
এর আগে তিনি শিমুলিয়া লঞ্চঘাট, স্পিডবোট ঘাট ও ফেরিঘাট পরিদর্শন করেন।
সিরিয়াল না মেনে গাড়ি পার করা হচ্ছে এমন প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'যারা ফেরি পারের অপেক্ষায় সিরিয়ালের পেছনে আছেন, তারা মনগড়া কথা বলছেন। সাবেক একজন মন্ত্রী এ নৌপথ ব্যবহার করে পার হয়েছেন। তিনিও ২ ঘণ্টা অপেক্ষা করেছেন। সিরিয়াল মেনেই গাড়ি পার হয়েছে।
তিনি জানান, সবচেয়ে ভালো ফিটনেসের ফেরিগুলো শিমুলিয়া বাংলাবাজার ও মাঝিকান্দি নৌপথে চলছে। ঝুঁকি যাতে না থাকে এর জন্য ভালো ফেরিগুলো যানবাহন পারাপার করছে। বিকল্প হিসেবে পাটুরিয়ায় ২১টি ফেরি দেওয়া হয়েছে। কাজিরহাট ও আরিচা ঘাটে ৪টি ফেরি চলছে। মানিকগঞ্জ নৌপথে সর্বমোট ২৫টি ফেরি চলছে। ঈদ প্রস্তুতির আগে যাত্রীদের বলেছিলাম, পাটুরিয়া ঘাট ব্যবহারের জন্য। তাহলে ভোগান্তি কম হবে।
তিনি আরও জানান, সাংবাদিকরা আজ সংবাদ করেছে পাটুরিয়া ঘাটে কোনো যানজট নেই। অনেক যাত্রী আমাদের নির্দেশনা ও অনুরোধ শুনেননি। চলে এসেছে শিমুলিয়া ঘাটে। শিমুলিয়াঘাটে যাত্রী চাপ আছে কিন্তু শৃঙ্খলা ভেঙে যায়নি। আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে। ধৈর্যহীন হলেই মনে হবে কেউ গাড়ি নিয়ে আগে চলে যাচ্ছে।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, 'ভোরে মোটরসাইকেলের চাপ ছিল অতিরিক্ত। ফাঁকা জায়গা দিয়ে তারা ঘাটে চলে এসেছে। অতিরিক্ত চাপ সামলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। এ নৌপথে ১০টির বেশি ফেরি বাড়ানো সম্ভব না।'
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিআইডব্লিউটিএ'র চেয়ারম্যান গোলাম সাদেক, বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান আহমদ শামীম আল রাজী, অতিরিক্ত ডিআইজি মাহবুবুর রহমান, ঢাকা রেঞ্জ পুলিশের অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. মাহবুবুর রহমান ও মুন্সিগঞ্জ পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেনসহ অনেকে।
Comments