মহাসড়ক-ফেরিঘাটে যানজট, ভেঙে ভেঙে বাড়ি যাচ্ছে মানুষ
রাজধানীর বাস কাউন্টারগুলোতে সকাল থেকেই ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের ভিড় দেখা দেখা গেছে। তবে পরিবহন খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মহাসড়কে ও ফেরিঘাটে যানজটের কারণে অনেকেই এ বছর ভেঙে ভেঙে বাড়ি যাচ্ছেন। ফলে গত ২ বছরের তুলনায় এবার বাসের যাত্রী তুলনামূলক কম।
আজ শুক্রবার সকালে গাবতলী ও মহাখালী বাস কাউন্টারে সরেজমিনে দেখা যায়, বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন যাত্রীরা।
করোনার কারণে গেল ২ বছর বাড়ি না যেতে পারার কারণে এ বছর অনেকেই পরিবার ও আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছেন।
সরকারি চাকরিজীবী রায়হান সপরিবারে খুলনায় ঈদ করতে যাচ্ছেন। সকাল ৯টায় তাকে গাবতলী কাউন্টারে বসে থাকতে দেখা যায়। তার গাড়ি ছাড়ার করা কথা ছিল সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে।
রায়হান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'করোনার কারণে গেল ২ ঈদে বাড়ি যেতে পারিনি। আশা করছি যথাসময়ে বাসায় যেতে পারব।'
চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী জিনাত ফাতেমা রাইশা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, দাদু বাড়ি ও নানু বাড়ি ঈদ করতে যাচ্ছি। এবার ঈদে অনেক মজা হবে।'
বেসরকারি চাকরিজীবী সাদ্দাম হোসেন দুর্জয় দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, মা বাবার সঙ্গে ঝিনাইদহের মহেশপুরে ঈদ করতে যাচ্ছি। টিকেটের মূল্য ১০০-১৫০ টাকা বেশি নিয়েছে। যেতে একটু কষ্ট হবে। তবে বাবা-মার সঙ্গে ঈদ করবো এটাই আনন্দ।'
দুই বছরের শিশু আয়াজ করোনার পর প্রথম ঈদ করতে নানুর বাসায় যাচ্ছে। আয়াজ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বগুড়ায় নানুর বাসায় ঈদ করতে যাচ্ছি। মা-বাবা সঙ্গে আছেন।'
রোজিনা পরিবহনের কর্মকর্তা মিজান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'যাত্রী কিছুটা কম। ফেরিঘাটে জ্যাম। এ কারণে অনেকে ভেঙে ভেঙে যাচ্ছে। আশা করছিলাম ২৭-২৮ এপ্রিল তারিখ যাত্রী হবে। কিন্তু যাত্রী নেই। তবে আশা করছি ৩০ এপ্রিল ও ১ মে যাত্রী পাব।
হানিফ এন্টারপ্রাইজের কাউন্টার মাস্টার মো. রানা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আগে অতিরিক্ত গাড়ি ছাড়তাম। এখনো অনেক সিট ফাঁকা। জ্যামের কারণে অনেক যাত্রী ভেঙে ভেঙে যাচ্ছেন।'
'করোনা সময়ের চেয়েও এ বছর যাত্রী কম। মানুষ বিভিন্ন পথে ভেঙে ভেঙে যাচ্ছেন। ঘোড়াশাল-কালিগঞ্জ ও টাঙ্গাইল-মির্জাপুর রুটে কিছুটা যানজট আছে।'
Comments