লালমনিরহাটে শিয়ালের কামড়ে বনরক্ষীসহ ৯ জন আহত
লালমনিরহাটে শিয়ালের কামড়ে ১ বনরক্ষীসহ ৯ জন আহত হয়েছেন। আহতদের আজ বুধবার সন্ধ্যায় লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিকেলে হাতীবান্ধা উপজেলার নওদাবাস গ্রামের শালবন এলাকায় শিয়ালের কামড়ে তারা আহত হন।
আহতরা হলেন-শালবনের বনরক্ষী খায়রুল ইসলাম এবং শালবন এলাকার নওদাবাস গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল জলিল, আব্দুস সালাম, জাহাঙ্গীর আলম, বিনোদ চন্দ্র, সুভাষ চন্দ্র, জাহানারা বেগম, রমিচা বেগম ও আফরোজা বেগম।
শিয়ালের কামড়ে আহত বনরক্ষী খায়রুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বুধবার বিকেলে এ এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা শালবনের ভেতরের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। আকস্মিকভাবে ৬-৭ টি শিয়াল বন থেকে বের হয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়।'
'এ সময় আমি শেয়ালদের তাড়া করলে তারা আমার ওপরও হামলা করে। আমিসহ স্থানীয়রা পালিয়ে গিয়ে বন বিভাগের অফিসে আশ্রয় নেই,' বলেন তিনি।
এ শালবনে এর আগে এমন ঘটনা ঘটেনি বলে তিনি জানান।
আহত আব্দুল জলিল (৬৫) দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, ছোটবেলা থেকেই তিনি শালবনের ভেতরের রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করছেন। তবে আগে কখনও এভাবে শিয়াল আক্রমণ করেনি।
তিনি বলেন, 'যখন রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলাম তখন একটি শিয়াল লাফ দিয়ে অতর্কিতভাবে আমার ওপর হামলা চালায়। আমি দৌড়ে পালিয়ে প্রাণে বাঁচি।'
জানতে চাইলে হাতীবান্ধা শালবনের বন কর্মকর্তা নুরনবী ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'লোকজনের ওপর হামলাকারী শিয়ালগুলো শালবনে থাকে। ধারনা করা হচ্ছে এরা জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হয়েছে।'
আপাতত শালবনের প্রধান দরজা বন্ধ করে রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এছাড়া বনরক্ষীদের সতর্ক করার পাশাপাশি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
'ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে,' বলেন তিনি।
লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. সুমাইয়া আক্তার আহতদের বিষয়ে জানান, প্রত্যেকের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন আছে। তাদের চিকিৎসা চলছে।
Comments