সরকার সব কিছুর মধ্যে অবৈধ প্রফিট করতে চায়: ফখরুল

fakhrul.jpg
ছবি: সংগৃহীত

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য সরকারকে দায়ী করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, সরকারের সমস্যা হলো তারা সব কিছুর মধ্যে অবৈধ প্রফিট করতে চায়।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর একটি হাসপাতালে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে তিনি ছাত্রলীগের হামলায় আহত ছাত্রদল নেতা শাহাবুদ্দিন শিহাবকে দেখতে হাসপাতালে যান এবং তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন।

ফখরুল বলেন, ১৯৭৪ সালে যে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল, সেবার খাদ্যের সংকট বেশি ছিল তা না। তাদের দুঃশাসন-দুর্নীতির কারণে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। আজ ঠিক একইভাবে তারা অন্যায়ভাবে খাদ্য-শস্যের দাম বাড়াচ্ছে, কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বাজারে দর বাড়িয়ে দিচ্ছে। আমাদের রিকশাচালকরা বেশিরভাগ সময় একটা কলা আর একটা বান রুটি খায়। সেই রুটির দাম ৩ গুণ হয়ে গেছে। চালের দাম ১০ থেকে ১৫ টাকায় উঠে গেছে। ১০ টাকা কেজি চাল যেটা সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হতো সেটাও বাড়ি ১৫ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। সরকার নিজেই মূল্য বৃদ্ধি করার জন্য সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করছে। তাদের কারসাজিতেই মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে, জনগণের দুর্ভোগ হচ্ছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের শান্তিপূর্ণ মিছিলে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী হামলায় গোটা জাতি মর্মাহত হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ছাত্রলীগ পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালিয়েছে এ জন্য যে, যেহেতু বাংলাদেশের মানুষ এই ফ্যাসিবাদী সরকারের দুঃশাসনে অতিষ্ঠ হয়ে প্রতিবাদ শুরু করেছে এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে যেসব উক্তি তাদের নেতারা করেছিল, সেই উক্তির প্রতিবাদে ছাত্রদলের একটি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির ওপর হামলা হয়েছিল।

এটা প্রমাণিত হয়েছে আবার যে, আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গ সংগঠন তারা সন্ত্রাসের মধ্য দিয়েই ক্ষমতা ধরে রাখতে চায়-জনগণের ভালোবাসার মধ্য দিয়ে নয়। এটা হচ্ছে তাদের মৌলিক চরিত্র। আজ শুধু নয়, এবারই নয় প্রতিবার আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠার পর থেকে বলা যেতে পারে সন্ত্রাসের মধ্য দিয়ে তাদের রাজনীতিকে এখানে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছে, বলেন ফখরুল।

তিনি আরও বলেন, তারা এখন পরিষ্কার বুঝে গেছে জনগণের সমর্থন হারিয়ে ফেলেছে। তাই সন্ত্রাস করে ভয়-ভীতি দেখিয়ে তারা গোটা দেশের মানুষকে ফিয়ার ফোবিয়ার মধ্যে রেখে আবারও আগামী নির্বাচন করতে চায়। সে নির্বাচন তারা পার হতে চায়। বাংলাদেশের মানুষ এবার তা অবশ্যই হতে দেবে না। কারণ বাংলাদেশের মানুষ মনে করে, এই নির্বাচন কোনোভাবেই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে সুষ্ঠু হওয়া সম্ভব না। আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরে যেতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় জনগণের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে নির্বাচন হতে হবে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশের মানুষ কোনো একমত। বাংলাদেশের মানুষ কোনো রকম সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দেবে না। জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের মধ্য দিয়েই এই সন্ত্রাসকে পরাজিত করে জনগণের বিজয় ঘোষণা হবে।

Comments

The Daily Star  | English

Four reform commission chiefs submit reports to Yunus

They submitted the reports to Yunus at the chief adviser's office in Dhaka's Tejgaon around 11:30am

2h ago