ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে সিপিবির বিক্ষোভে পুলিশের বাধা
ভোজ্যতেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ ও বাণিজ্যমন্ত্রীর অপসারণ দাবিতে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর পল্টনমোড়ে সমাবেশের পর সিপিবির নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দিকে যেতে চাইলে গুলিস্তানে নূর হোসেন চত্বরে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে। পরে পুলিশি বাধার সামনেই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. শাহ আলমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষসহ অন্যান্যরা।
সিপিবির সভাপতি মো. শাহ আলম বলেন, এই সরকার জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। এই সরকার দুর্নীতিবাজ আমলা, লুটেরা রাজনীতিবিদ, সামাজিক দস্যু, সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধিত্ব করে। এই সরকারের পক্ষে জনগণের অধিকার সংরক্ষণ সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, দেশে ৫ ভাগ ও ৯৫ ভাগের রাজনীতি-অর্থনীতি বিদ্যমান। ৫ ভাগের রাজনীতি-অর্থনীতি ৯৫ ভাগকে শোষণ করছে। এই রাজনীতি উল্টে দিতে হবে।
শাহ আলম বলেন, পুলিশি ব্যারিকেডে ৯৫ ভাগের জনরোষ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে না।
তিনি গণবণ্টন, স্থায়ী রেশনিং ব্যবস্থা ও সরকারি উদ্যোগে বাজার ব্যবস্থা গড়ে তোলা ও সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসার দাবি করেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, বিকল্প বাজার ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।
তিনি দক্ষ ও দুর্নীতিমুক্তভাবে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে তেলসহ নিত্যপণ্যের আমদানি ও মজুত গড়ে তোলা, টিসিবির গাড়ি-সংখ্যা বাড়ানো, অন্তত তিন কোটি পরিবারকে তেলসহ নিত্যপণ্য ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সরবরাহের দাবি জানান।
তিনি বলেন, টিসিবির বিক্রি বোতলের তেল ১১০ টাকা হলে খোলা তেল ৯০ টাকা লিটারে বিক্রি করতে হবে।
তিনি বলেন, ব্যর্থ বাণিজ্যমন্ত্রীকে এখনও অপসারণ না করে ও মজুতদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে সরকার প্রমাণ করেছে, তারা সিন্ডিকেট ও মজুতদারদের সরকার। এরাই এদের লুটপাটের সুযোগ করে দিচ্ছে।
তিনি তেলের দাম কমানো ও সারা দেশে রেশনিং ব্যবস্থা ও ন্যায্যমূল্যের দোকান চালুর দাবি জানান।
সমাবেশে নেতারা বলেন, এদেশে গণঅভ্যূত্থান অনেকবার হয়েছে। জনগণ যে কোনো সময় এই অভ্যূত্থান ঘটাবে।
Comments