ফুলগাজীতে বিএনপির প্রস্তুতি সভায় আ. লীগের হামলার অভিযোগ

স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

ফেনীর ফুলগাজীতে বিএনপির ত্রাণ বিতরণের প্রস্তুতি সভায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীর হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীর। বিএনপির দাবি- এ ঘটনায় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের ২০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।

আজ শুক্রবার বিকেলে উপজেলা পরিষদ সড়কের পাশে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফখরুল আলম, সদস্য সচিব আবুল হোসেন, যুগ্ম-আহবায়ক গোলাম রসুল, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-সম্পাদক নুরুল হুদা, যুবদল নেতা আকবর হোসেন, মো. দিদার, মো. শিমুল, রতন মুক্তার, সদর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি রবিউল হক। বাকিদের নাম জানা যায়নি।

জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন বলেন, 'শনিবার ফুলগাজী উপজেলার দৌলতপুরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণের কথা আছে। সেখানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশারফ হোসেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক আবদুস সালাম, সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও ফেনী-২ সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জয়নাল আবেদীন, বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবর রহমান শামীমসহ কেন্দ্রীয় ও জেলার নেতাদের অংশ নেওয়ার কথা।'

ফুলগাজী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফখরুল আলম অভিযোগ করেন, 'শনিবারের ত্রাণ বিতরণকে সফল করতে শুক্রবার বিকেলে উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন সড়কের পাশে প্রস্তুতি সভা চলছিল। সভা চলাকালে উপজেলা আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন মজুমদারের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের অর্ধশত নেতা-কর্মীরা লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে অন্তত ২০-২৫ জনকে আহত করেন।'

তিনি বলেন, 'আহতদেরকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানেও আ. লীগের নেতা-কর্মীরা বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর দ্বিতীয় দফায় হামলা করেন। তারা আহতদের চিকিৎসা নিতে বাধা দেয়। এসময় তারা বিএনপি নেতা-কর্মীদের কয়েকটি মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করে।'

তবে, বিএনপির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপজেলা আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন মজুমদার।

তিনি বলেন, 'ফুলগাজী উপজেলায় এখন বন্যার কোনো চিহ্ন নেই। বিএনপির নেতা-কর্মীরা ত্রাণ বিতরণের কথা বলে, সভা ডেকে সেখানে পদ্মা সেতুসহ সরকারের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছিল। তখন সভাস্থলের পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় সদর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমানের ওপর কোনো কারণ ছাড়া বিএনপির নেতা-কর্মীরা হামলা করে। মিজানের ওপর হামলার খবরে ক্ষুব্ধ হয়ে দলীয় নেতা-কর্মীরা জড়ো হয়ে বিএনপির সভাস্থলে যায়। পরে দু'পক্ষের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে আওয়ামী লীগের ৫-৬ জন নেতাকর্মী আহত হন।'

জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রুবাইয়াত করিম বলেন, 'হাসপাতালের ভেতরে কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি। তবে, হাসপাতাল চত্বরে কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুরের আমি শুনেছি।'

তিনি আরও বলেন, 'শুক্রবার সন্ধ্যায় আহত অবস্থায় ৫ জনকে হাসপাতালে আনা হয়। এর মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ফেনীর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপর দু'জনকে চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।'

ফুলগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মু. মাঈন উদ্দিন জানান, উপজেলা পরিষদ সংলগ্নস্থানে বিএনপি ও আ. লীগের দু'পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার কথা শুনেছি। সেখানে পুলিশ পাঠিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে, এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি।'

Comments

The Daily Star  | English

'State intelligence agency' is attempting to form political party, Rizvi alleges

Doubts are growing as to whether there are subtle efforts within the government to weaken and break the BNP, he also said

3h ago