আ. লীগ ক্ষমতায় এলে অন্য সম্প্রদায়ের ওপর অত্যাচার বাড়ে: ফখরুল

mirjaa_phkhrul_islaam_aalmgiir.jpg
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রথম ডিজিটাল 'জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২'-এর প্রাথমিক প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরে অন্য সম্প্রদায়ের ওপর অত্যাচার সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পায়।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব নড়াইলে হিন্দু পরিবারের ওপর হামলার ঘটনায় দলের পক্ষ থেকে করা কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।

ফখরুল বলেন, আজকে পত্রিকায় এসেছে এবারের জনশুমারি প্রতিবেদনে এসেছে; গতবার যে শুমারি হয়েছে ২০১১ সালে তার চেয়েও এখন হিন্দু সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা কমে গেছে। শতকরা ১ ভাগের বেশি। প্রায় বছর কয়েক আগেও রামুতে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের উপাসনালয় ধ্বংস করা হয়েছে, নাসিরনগরে হামলা করা হয়েছিল, কুমিল্লায় দুর্গা পূজার সময় আক্রমণ হয়েছিল বিভিন্ন পূজা মণ্ডপে, দিনাজপুর, ঝিনাইদহ, পাবনা, যশোর, নাটোর, ঠাকুরগাঁওয়ে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ওপর বারবার এই অত্যাচার হয়েছে। অত্যন্ত নিরপেক্ষভাবে পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে—সব সময়ই আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় এসেছে তখনই এই ঘটনাগুলো সবচেয়ে বেড়েছে। তাদের সম্পদের বেশির ভাগের মালিক আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচারণা যখন থাকে, তারা যখন যখন কথা বলে সব সময় তারা দাবি করে বাংলাদেশে তারাই হচ্ছে রক্ষক হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের জন্য। সবচেয়ে বড় গলায় তারা এ কথাটা বলে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরে তাদের ওপর অত্যাচার সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পায়। দেখা যায়, সম্পূর্ণভাবে তাদের লোকেরা এই ঘটনায় সরাসরি জড়িত থাকে।

এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, বর্তমানে সংকট হলো গণতন্ত্র পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। নির্বাচনের দাবিতে যখন গোটা দেশের মানুষ একটাই কথা বলছে যে, এই দেশে কোনো নির্বাচন হতে পারে না যদি আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকে। কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। নির্বাচন কমিশন নিজে এখন বলতে বাধ্য হচ্ছে, একটা রাজনৈতিক পরিস্থিতি সৃষ্টি না হলে, সব দলের অংশগ্রহণ না হলে  নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। সেই সময় এই দাবি পাশ কাটিয়ে যাওয়ার জন্য কৌশল অবলম্বন করে তারা।

রেলওয়ের ব্যাপারে রনি আন্দোলন শুরু করেছিলেন। আমি তখনই বলেছিলাম, খুব তাড়াতাড়ি দেখা যাবে এটা আওয়ামী লীগের কৌশল। এটা প্রমাণিত হবে। ঠিকই প্রমাণিত হয়ে গেছে। তিনি বিক্ষোভ শেষ করে আওয়ামী লীগের অফিসে গিয়ে ঢুকেছে। এটা হলো তাদের কৌশল; ডাইভার্সান। গণতন্ত্র নেই বলেই মানুষের অধিকার রক্ষা করা যাচ্ছে না। গণতন্ত্র নেই বলেই জবাবদিহিতা নেই, পার্লামেন্ট নেই। লুটপাট করে নিয়ে যাচ্ছে। লোডশেডিংয়ের কারণও তাই। গণতন্ত্র নেই জন্য বিচার নেই, বলেন বিএনপি মহাসচিব।

তিনি আরও বলেন, আমরা বারবার বলছি মাথাপিছু আয় বেশি দেখানোর জন্য আদম শুমারিতে জনসংখ্যা কম দেখানো হয়েছে। যে কোনো মানুষ বুঝবে, যেখানে আমরা ১৮ কোটি হিসাব করি সেখানে ১৬ কোটি দেখালে মাথাপিছু আয় বেশি দেখানোর সুযোগ হবেই। এবার কিন্তু তারাই স্বীকার করেছে জনশুমারি সঠিক হয়নি। বাড়ি বাড়ি যায়নি।

পুরো সরকার প্রতারণার ওপর দাঁড়িয়ে আছে বলেও এ সময় মন্তব্য করেন ফখরুল।

Comments

The Daily Star  | English
Pharmaceutical raw material import dependency Bangladesh

Heavy import reliance leaves pharma industry vulnerable

Despite success, Bangladesh's pharma industry hinges on imported raw materials

14h ago