বন্যায় বিঘ্নিত সিলেট-সুনামগঞ্জের জনশুমারি কার্যক্রম
সারাদেশে গত ১৫ জুন একযোগে শুরু হয় জনশুমারি ও গৃহগণনা কার্যক্রম। কিন্তু দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলা সিলেট ও সুনামগঞ্জে সেদিন থেকে বন্যা শুরু হওয়ায় চরমভাবে বিপর্যস্ত হয়েছে এই দুই জেলার জনশুমারি কার্যক্রম।
বন্যা পরিস্থিতির মধ্যেও জনশুমারি স্থগিত বা বিলম্বিত করা হয়নি। তবে সতর্ক থেকে তথ্য সংগ্রহের নির্দেশনা দেওয়া হয় ১৮ জুন।
এর আগ পর্যন্ত বন্যার মধ্যেই তথ্য সংগ্রহ করেছেন গণনাকারীরা। নির্দেশনা আসার পরেও যতটা সম্ভব সতর্ক থেকে তথ্য সংগ্রহ করলেও, প্রতিকূল আবহাওয়ায় ব্যাপক বিঘ্নিত হয়েছে জনশুমারি।
জনশুমারি কার্যক্রমের সরাসরি তত্ত্বাবধানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সিলেট বিভাগীয় পরিসংখ্যান কার্যালয়ের জোনাল অফিসার স্বপন আহমেদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'প্রতিকূল পরিবেশে কাজ না করার নির্দেশনা আসার আগেই গণনাকারীরা দুর্যোগের মধ্যে কাজ করছিলেন। প্রথম কয়েকদিন অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। ২ দিনের মাথায় জ্বরে আক্রান্ত হন আমার দলের ৭ জন গণনাকারী। তবে নির্দেশনা আসার পর থেকে কাউকে আর কষ্ট করতে হয়নি।'
তবে সিলেট বিভাগীয় পরিসংখ্যান অফিসের যুগ্ম-পরিচালক মুহাম্মদ আতিকুল কবীর দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, যেসব জায়গায় অতিরিক্ত প্লাবিত হয়েছে, সেসব এলাকায় জনশুমারি করা সম্ভব হয়নি। ওই এলাকাগুলোতে পরবর্তীতে তথ্য সংগ্রহের নির্দেশনা আসতে পারে।
যুগ্ম-পরিচালক মুহাম্মদ আতিকুল কবীর বলেন, 'বন্যা পরিস্থিতিতে জনশুমারি নানাভাবে বিঘ্নিত হয়েছে। বৃষ্টি আর বন্যার পানির পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকার মোবাইল নেটওয়ার্কের বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় সেখানকার দায়িত্বপ্রাপ্তদের সঙ্গে যোগাযোগে সমস্যা হচ্ছিল। এ ছাড়াও বন্যার কারণে অনেক মানুষ নিজ এলাকা ছেড়ে অন্যত্র যাওয়ায় সঠিক তথ্য সংগ্রহে সমস্যা দেখা দেয়।'
'আমরা সার্বিক বিষয় সম্পর্কে ব্যুরোর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। যেহেতু জনশুমারির তারিখ পূর্বনির্ধারিত, তাই আপাতত নতুন করে দিন বর্ধিত করার কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। তবে বন্যাকবলিত এলাকায় তথ্য সংগ্রহের জন্য নতুন কোনো তারিখ নির্ধারিত হতে পারে,' যোগ করেন তিনি।
গত ১৫ জুন থেকে শুরু হওয়া দেশের প্রথম ডিজিটাল আদমশুমারি 'জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২' আগামীকাল ২১ জুন শেষ হবে।
Comments