বাংলাদেশ চীনা ঋণের ফাঁদে নেই: রাষ্ট্রদূত লি জিমিং

ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। ফাইল ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ কোনো ধরনের চীনা ঋণের ফাঁদে নেই বলে ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত লি জিমিং জানিয়েছেন।

আজ বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ কথা জানান।

রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, 'আমি নিশ্চিত করতে পারি যে বাংলাদেশ চীনা ঋণের ফাঁদে নেই।'

সম্প্রতি যখন খারাপ আর্থিক সংকটের মুখে শ্রীলঙ্কার ঋণের ফাঁদ নিয়ে ব্যাপকভাবে আলোচনা হচ্ছে, তখন চীনা রাষ্ট্রদূত এ মন্তব্য করলেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, শ্রীলঙ্কায় রাজাপাকসে পরিবারের দুর্নীতি, ত্রুটিপূর্ণ অর্থনীতি এবং ঋণের বোঝা দেশটিকে আজকের এই সংকটের দিকে নিয়ে গেছে। দেশটি এখন ডলার, জ্বালানি, খাদ্য এবং এমনকি ওষুধের ঘাটতির মুখোমুখি।

এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, 'বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে তুলনা করা উচিত নয়, কারণ শ্রীলঙ্কার প্রধান আয় পর্যটন খাত থেকে আসে। খাতটি করোনায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।'

'কিন্তু বাংলাদেশের রপ্তানি ও রেমিট্যান্স থেকে আয় সবচেয়ে বেশি,' বলেন তিনি।

তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের ঋণ পরিশোধের সক্ষমতাও অনেক ভালো। আমরা বৈদেশিক ঋণের ক্ষেত্রে খুব হিসাবী।'

'কোনো প্রকল্প আমাদের জন্য উপকারী না হলে আমরা ঋণ নিই না,' বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি জানান, বাংলাদেশের বড় বৈদেশিক ঋণ আসে বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক ও জাপান থেকে।

তিনি বলেন, 'চীনের কাছে বাংলাদেশের ঋণ মোট বৈদেশিক ঋণের মাত্র ৫-৬ শতাংশ। বাংলাদেশ চীনের সঙ্গে বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সই করলেও তেমন ঋণ নেয়নি। বাংলাদেশি প্রকল্পে অনেক চীনা ঠিকাদার কাজ করছে কারণ তারা টেন্ডার পেয়েছে।'

মোমেন জানান, আজ তিনি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে মিয়ানমার ও চীনকে নিয়ে ত্রিপক্ষীয় আলোচনা পুনরায় শুরু করার বিষয়ে আলোচনা করেছেন।

শ্রীলঙ্কার বর্তমান সংকট সম্পর্কে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্রটিতে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে চায়। বাংলাদেশ ইতিমধ্যে শ্রীলঙ্কাকে কিছু সহায়তা দিয়েছে এবং আরও বিবেচনা করছে।'

'শ্রীলঙ্কা সংকট নিয়ে আমরা এখনও আলোচনা করিনি। আমরা ওষুধ পাঠিয়েছি এবং শ্রীলঙ্কায় খাবার পাঠানোর কথা ভাবছি,' বলেন তিনি।

এদিকে শ্রীলঙ্কায় বাংলাদেশিদের জন্য হটলাইন চালু করেছে বাংলাদেশ।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, জরুরি পরিস্থিতিতে শ্রীলঙ্কায় অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিকরা ০৭৪২১৫৮৭৫০ বা ০৭১২৪০৬৩১৩ নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন।

Comments

The Daily Star  | English

No clear roadmap for investment

The budget for FY26 has drawn strong criticism from business leaders who say it lacks a clear roadmap for improving the investment climate, bolstering industrial competitiveness, and implementing overdue reforms in the banking sector.

14h ago