ফেসবুক থেকে: এমপি মন্ত্রী, তাদের জ্ঞাতি গোষ্ঠীরা ভিআইপি, জনগণ ভাড়াটিয়া

স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

'বাংলাদেশের এমপি মন্ত্রী ও তাদের জ্ঞাতি গোষ্ঠী সবাই ভিআইপি। আর আমরা যারা সাধারণ জনগণ আছি আমরা হইলাম ভাড়াটিয়া।'

বিনা টিকেটে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনের ৩ আত্মীয়ের ভ্রমণ ও টিটিই শফিকুল ইসলামের বরখাস্ত নিয়ে দ্য ডেইলি স্টারের বাংলা অনলাইনে প্রকাশিত এক মতামতের নিচে করা পাঠকের মন্তব্য এটি।

গতকাল রোববার দ্য ডেইলি স্টারে 'টিটিই কাণ্ড ও মন্ত্রীর স্ত্রী-আত্মীয় সমাচার' শিরোনামে একটি মতামত প্রকাশিত হয়েছে। ফেসবুকে তা শেয়ার করা হলে দ্য ডেইলি স্টারের পেজে পাঠকরা বিভিন্ন কমেন্ট করেন।

মাজাহারুল ইসলাম মনির লিখেছেন, 'বাংলাদেশের এমপি মন্ত্রী ও তাদের জ্ঞাতি গোষ্ঠী সবাই ভিআইপি। আর আমরা যারা সাধারণ জনগণ আছি আমরা হইলাম ভাড়াটিয়া। তাদের আঙ্গুলের ইশারায় আমরা স্টেশন থেকে নামি আর উঠি।'

স্বদেশ আর বড়ুয়া লিখেছেন, 'শুনেছি রেলমন্ত্রীর স্ত্রী আইনবিদ। তিনি নিশ্চয়ই আইনের মাধ্যমে আইনের আওতায় আসবেন সেই প্রত্যাশা করি। সরকারি কর্মকর্তাকে প্ররোচিত করার দায়ে তিনি অভিযুক্ত হবার যোগ্য। যে কর্মকর্তা শফিকুলকে মানসিক ভারসাম্যহীন বলেছেন তাকেও আইনের আওতায় আনাসহ বরখাস্তকারী কর্মকর্তার অদক্ষতার জন্য শাস্তি হওয়া উচিত।'

শহিদ উল মুলক লিখেছেন, 'যিনি ফোন করেছেন এবং যিনি হুকুম তামিল করেছেন দুজনের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি জনগণ দেখতে চায়, যেন আগামীতে স্বর্ণাক্ষরে ইতিহাসে তা লেখা থাকে।'

হাবিবুল ইসলাম লিখেছেন, 'এমন ভাবে অগ্রগতিকে প্রমোট করা হচ্ছে মনে হয় এটা ভালো কাজ করছে। অথচ এমন অনেক ভালো কাজ আটকে আছে আমলাতান্ত্রিক জটিলতায়। ওখানে অগ্রগতি আসেনা, গতি আসে মন্ত্রীর বউ ফোন দিলে। মন্ত্রীর বউ ফোন দিলেই যদি অগ্রগতি আসে তাহলে আমাদের তো মন্ত্রী দরকার নাই টাকা দিয়ে পালার। তার বউ থাকলেই হবে।'

এম এ কামাল শাহিন ও মো. ওমর ফারুক রেলমন্ত্রীর অপসারণ দাবী করেছেন।

আলাউদ্দিন আলো লিখেছেন, 'টিটির বরখাস্ত আদেশ প্রত্যাহারের মাধ্যমে দায়মুক্তি পেয়ে গেছে। এখন অন্যায় অনিয়মকারীদের দৃষ্টান্ত মুলুক শাস্তি চাই। রাষ্ট্রের আইনের কাছে বউ ভাগনে বড় নয় এটা প্রমাণ হওয়া জরুরি।'

মোহাম্মদ আমির লিখেছেন, 'ক্ষমতার এমন অপব্যবহার এর বিচার হোক। আইন সবার জন্য সমান, এটার প্রমাণ জনগণ দেখতে চায়।'

এভার গ্রিন নামক এক আইডি থেকে মন্তব্য করা হয়েছে, 'মন্ত্রীর ওয়াইফ কেও শাস্তির আওতায় আনা উচিত।'

আবদুল্লাহ আল মারুফ লিখেছেন, 'মন্ত্রীর পদত্যাগ দ্রুত হলে অগ্রগতি আরও ভালোভাবে অনুধাবন করা যেত।'

মন্ত্রীর পদত্যাগ করা এবং সেই টিটিকে রাষ্ট্র প্রধানের হাতে পুরস্কৃত করা সময়ের দাবি উল্লেখ করে মাহবুবুর রহমান মিসবা লিখেছেন, 'আমরা সকলেই জানি যে একজন টিটিই হিসেবে এটা তার দায়িত্বের অংশ এ ধরণের ভ্রমণ প্রতিহত করা। তিনি দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে খুব ঝামেলার শিকার হয়েছেন। তার সঙ্গে যেটা করা হয়েছে তাতে সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে যারা সততা ও দৃঢ়তার সঙ্গে কাজ করতে চায় তাদের জন্য এটা নেতিবাচক বার্তা বা প্রতিকূল বার্তা দেবে। আর যারা আইন অমান্য করছিল এবং করছে তারা উল্লসিত হবে।'

বাদল রায় লিখেছেন, 'উনার স্ত্রীর কথায় যিনি টিটিই কে বহিষ্কার করছেন, তার কাছে জানতে চাওয়া হোক, মন্ত্রীর স্ত্রীর কথায় কি দেশ চলে যে উনি ফোন করলেই কাউকে বহিষ্কার করতে হবে। যদি তিনি তাই বলেন তাহলে তাকে শাস্তির আওতায় আনা হোক। আর যদি তিনি বলেন যে মন্ত্রী এ বিষয়ে জড়িত তাহলে মন্ত্রীকে উচিত শিক্ষা দেওয়া হোক। কেননা এই মন্ত্রীর এর আগের বক্তব্য মিথ্যা ছিল। তিনি একজন মিথ্যাবাদী প্রমাণিত।'

বিডি ট্রেডার নামের এক আইডি থেকে লেখা হয়েছে, 'এরকম ঘটনা অহরহ ঘটছে। দু একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা সামনে চলে আসে আরকি। ভালো হয় এদের আত্মীয় স্বজনদের আইডি কার্ড করে দিলে। এদের থেকে দূরত্ব বজায় রেখে সাধারণ পাবলিক স্বস্তিতে থাকতে পারবে।'

মনির হোসেন লিখেছেন, 'টিকিটের জন্য যদি ফোন করতে পারেন তাহলে উনি নিয়োগের জন্যও ফোন দিতে পারেন। বিষয়টা খতিয়ে দেখা দরকার।'

Comments

The Daily Star  | English

Transitioning from autocracy to democracy: The four challenges for Bangladesh

The challenges are not exclusively of the interim government's but of the entire political class.

2h ago