পশুরহাট টেন্ডার: সর্বোচ্চ দরদাতাকে খুঁজছেন উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি
ঢাকার সাভারে পৌরসভার পশুরহাট ইজারায় অংশ নিয়ে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ইজারাপ্রাপ্ত এক নারীর জাতীয় পরিচয়পত্র ফেসবুকে পোস্ট করে তার তথ্য চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে সাভার উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আতিকুর রহমানের বিরুদ্ধে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আতিকুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'যে নারীর তথ্য চাওয়া হয়েছে তিনি গরুর হাটের ইজারা পেয়েছেন। তাকে আমাদের দরকার, তাই এই পোস্ট দিয়েছি। তাকে কেউ চেনেও না, যদিও মুঠোফোনে তার সঙ্গে কথা হয়েছে।'
এভাবে একজন নারীর ছবিসহ জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করা কতটা যৌক্তিক—জানতে চাইলে আতিকুর এই প্রশ্ন এড়িয়ে যান।
সাভার পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী শরীফুল ইমাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'টেন্ডারে যে কয়টি শিডিউল জমা পড়েছে, তার মধ্যে ২টি বৈধ পেয়েছি। এর মধ্যে তাহমিনা আক্তার মিলা ৮১ লাখ টাকায় সর্বোচ্চ দরদাতা হয়েছেন এবং নজরুল ইসলাম ৫৩ লাখ টাকা দর জমা দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন। আগামী রোববার টেন্ডার কমিটির মিটিং শেষে আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাব।'
তিনি আরও বলেন, 'মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত বড় বিষয় নয়। প্রাথমিকভাবে আমরা যাকে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে পাই, তাকেই মনোনীত করে থাকি। সেক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে তাহমিনা আক্তার মিলাই সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ইজারা পাওয়ার যোগ্য হয়েছেন।'
পশুর হাটের জন্য পৌরসভার নির্ধারিত কোনো জায়গা না থাকায় এ বছর কোথায় হাটটি বসানো হবে—জানতে চাইলে এই পৌর কর্মকর্তা বলেন, 'আমরা দুটি জায়গা বাছাই করেছি। একটি সাভার মডেল থানার পেছনে নদীর পাড়ে, অন্যটি সাবেক মেয়র ইমুর বাড়ির পাশের খোলা মাঠে। এই ২টি জায়গার একটিতে হাট বসবে।'
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক টেন্ডার শিডিউল ক্রেতা দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, শিডিউল জমা দেওয়ার শেষ দিন ব্যাংক ড্রাফটসহ শিডিউল জমা দিতে চাইলেও ছাত্রলীগ সভাপতি ও তার লোকজনের বাঁধার মুখে তারা শিডিউল জমা দিতে পারেননি।
শিডিউল জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে কোনো ঝামেলা হয়েছে কি না—জানতে চাইলে নির্বাহী প্রকৌশলী শরীফুল ইমাম বলেন, 'আমাদের কাছে এমন কোনো অভিযোগ আসেনি। কোনো ঝামেলা ছাড়াই টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।'
তবে ইজারাপ্রাপ্ত নারীর মুঠোফোন বন্ধ থাকায় এ বিষয়ে তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
Comments