‘শেখের বেটি পদ্মা সেতু বানিয়ে দেখিয়েই দিল’

পদ্মা সেতু
পদ্মা সেতু। ছবি: রাশিদুল হাসান/ স্টার

মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার পদ্মা পাড়ে বইছে আনন্দের জোয়ার। শনিবার সকালে সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ খবর পাওয়ার পর সেতু দেখতে আসেন বিভিন্ন গ্রামের মানুষজন। তাদের সবার মুখে একটিই কথা—শেখের বেটি পদ্মা সেতু বানিয়ে দেখিয়েই দিল।

মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার হলদিয়া গ্রামের সালমা বেগম জানান, ভোরে উঠেই ভাত রান্না করে বাসা থেকে বের হই সকাল ৯টায়। প্রতিবেশী ৫ জন নারী মিলে আমরা সেতুর কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু আমাদের কাছে যেতে দেয়নি। আমরা তবুও খুশি। যখন খবর পেলাম সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী তখন সবাই চিৎকার করে পদ্মা সেতু, পদ্মা সেতু বলে উচ্ছাস প্রকাশ করি। তারপর তারের সীমানাপ্রাচীরের নিচে ফাঁকা জায়গা দিয়ে সেতুতে প্রবেশ করি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ শনিবার পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর সেতু দেখতে আসেন বিভিন্ন গ্রামের মানুষজন। ছবি: সাজ্জাদ হোসেন/ স্টার

তিনি বলেন, 'পদ্মা সেতু নির্মাণ নিয়ে কত গুজব শুনেছি। এ সেতু হবে কিনা তা নিয়ে কত অনিশ্চয়তা ছিল। কিন্তু শেখের বেটি দেখিয়ে দিল সেতু নির্মাণ করে।'

উত্তর মেদেনীমন্ডল গ্রামের সেলিনা আক্তার বলেন, 'শেখের বেটি পদ্মা সেতু বানিয়ে দেখাল। আমরা অনেক খুশি পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্পন্ন হওয়ায়। আগামীকাল রোববার থেকে যানবাহন চলাচল শুরু হবে। পদ্মা নদী পার হতে পারব গাড়িতে চড়েই। ফেরিঘাটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষার দিনও শেষ। দক্ষিণবঙ্গের মানুষের আর কষ্টই থাকল না।'

ঘোড়দৌড় বাজার থেকে মাওয়া চৌরাস্তায় এসেছেন আসমা আক্তার। তিনি পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠান দূর থেকে দেখেন। তিনি জানান, ভাবছিলাম হয়ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেখতে পাবো। কিন্তু আমরা দেখতে পারিনি। কিন্তু গাড়ি দিয়ে সেতু অতিক্রম করার সময় আমরা হাততালি দিয়েছিলাম সবাই। দক্ষিণবঙ্গের মানুষের যাতায়াতে অনেক উপকার হবে।

উত্তর মেদেনীমন্ডল গ্রামের দিলারা বেগম জানান, পদ্মা পার হতে মানুষের ভোগান্তি দীর্ঘদিন যাবত। এমনকি মানুষজন মরদেহ নিয়েও আটকে থাকে। ২-৩ দিন যাবত অপেক্ষাই করতে হয় ফেরি দিয়ে নদী পার হতে। কিন্তু সব বাধা পেরিয়ে সেতু উদ্বোধন হলো। আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সেতু নির্মাণ করে দিয়েছেন।

সেতু দেখতে আসা আওলাদ হোসেন সেতুর ভায়াডাক্টে অবস্থানকালে জানান, পদ্মা নদী পার হতে সময় লাগবে ৬ মিনিট। যেখানে নৌযানের মাধ্যমে পদ্মা পার হতে সময় লাগতো ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিটের বেশি। এখন আর অপেক্ষা করতে হবে না। সরাসরি বাড়ি যাওয়া যাবে। আমরা দক্ষিণবঙ্গের মানুষের কাছে পদ্মা সেতু একটি আবেগের নাম।

Comments

The Daily Star  | English

Teknaf customs in limbo as 19 mt of rice, authorised by AA, reaches port

The consignment of rice weighing 19 metric tonnes arrived at Teknaf land port on Tuesday evening with the documents sealed and signed by the Arakan Army

2h ago