পদ্মা সেতু বরণে সেজেছে বাগেরহাট
অপেক্ষার পালা প্রায় শেষ। আর একদিন পরেই দীর্ঘদিনের প্রত্যাশিত পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পদ্মা সেতুর উদ্বোধন ঘিরে বাগেরহাট সেজেছে বর্ণিল সাজে। বাগেরহাটজুড়ে এখন বিরাজ করছে উৎসবমুখর পরিবেশ। সেতু সম্পর্কিত ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টারে ছেয়ে গেছে বাগেরহাট জেলার বিভিন্ন স্থান।
এ ছাড়া জেলার গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবন, রাস্তা ও ব্রিজগুলোয় করা হয়েছে আলোকসজ্জা। পদ্মা সেতু সম্পর্কিত গান বাজানো হচ্ছে বাসস্টান্ডসহ গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে।
বাগেরহাট জেলা প্রশাসনের আয়োজনে পদ্মা সেতু ও বঙ্গবন্ধু সম্পর্কিত ব্যানার দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাঘাটে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। সেতু উদ্বোধনের দিন বাউল দল সুসজ্জিত পিকআপে করে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে সেতু নিয়ে গান পরিবেশন করবেন।
এ ছাড়া, শহরের স্বাধীনতা উদ্যানে প্রজেক্টর ও সাউন্ড সিস্টেমের মাধ্যমে দেখানো হবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।
বাগেরহাটের দড়াটানা ব্রিজ, মোল্লাহাটের আবুল খায়ের ব্রিজ, মুনিগঞ্জ ব্রিজসহ সবগুলো বড় সেতু ও গুরুত্বপূর্ণ সড়কে আলোকসজ্জা করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সবমিলিয়ে পদ্মা সেতু নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে এক ধরনের উদ্দীপনা কাজ করছে।
বাগেরহাট শহরের আমলাপাড়া এলাকার বাসিন্দা সারোয়ার শেখ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পদ্মা সেতু আমাদের স্বপ্ন। এ উপলক্ষে শুধু সরকার ও আওয়ামী লীগ নয়, পুরো বাগেরহাটবাসী খুশি।'
ব্যবসায়ী বাপ্পী দেবনাথ বলেন, 'ঈদ ও বিজয় দিবসসহ বিভিন্ন উৎসবে আলোকসজ্জা হয়ে থাকলেও এবার সবচেয়ে বেশি আলোকসজ্জা করা হয়েছে। স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে আমাদের এলাকার সবাই খুশি।'
বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ভূঁইয়া হেমায়েত উদ্দিন বলেন, 'পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য আমাদের নেতা-কর্মীরা মুখিয়ে আছেন। সেতু উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাগেরহাটের প্রায় ৫০ হাজারের বেশি মানুষ অংশ নেবেন। প্রতিটি ইউনিয়নে মিষ্টি বিতরণসহ আনন্দ মিছিল হবে।'
বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পদ্মা সেতু নিয়ে সাধারণ মানুষের উচ্ছ্বাসে শামিল হয়েছে জেলা প্রশাসনও। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আনন্দ র্যালি, আলোকসজ্জা, ব্যানার, ফেস্টুন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।'
একই সঙ্গে সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বড় পর্দায় প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
Comments