নির্বাচন করতে চেয়েছিলাম বলেই আ. লীগ হয়ে গেছি, বিষয়টি তেমন না: ছহুল হোসাইন
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে প্রধান করে নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠনের লক্ষ্যে ৬ সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিতে রাষ্ট্রপতি মনোনীত ২ বিশিষ্ট নাগরিকের ১ জন হলেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন।
আজ শনিবার দুপুরে তার সঙ্গে টেলিফোনে দ্য ডেইলি স্টারের কথা হয়েছে।
ডেইলি স্টার: আপনি তো আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন। এখন সার্চ কমিটির একজন সদস্য হিসেবে নির্বাচন কমিশনার খুঁজে বের করবেন। আপনার নিরপেক্ষতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন দেখা দেবে কি না?
ছহুল হোসাইন: না প্রশ্নই আসে না। আমি আওয়ামী লীগের থেকে নির্বাচন করতে চেয়েছিলাম বলে আওয়ামী লীগ হয়ে গেছি বিষয়টি মোটেই তেমন নয়। যখন নির্বাচন করতে চেয়েছিলাম, তখন বিষয়টা ঠিক ছিল। এখন আর আমার সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো সম্পর্ক নেই।
ডেইলি স্টার: এই কারণেই তো বিরোধীপক্ষ আপনার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে?
ছহুল হোসাইন: না আমার ক্ষেত্রে এ রকম হওয়া উচিত না। আমার নিরপেক্ষতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলা ঠিক হবে না। আমি যখন যে কাজ করেছি, বিবেকের কাছে পরিষ্কার থেকে, নিরপেক্ষতার সঙ্গে করেছি। কখনো কোনো কিছুতে পক্ষপাতদুষ্ট ছিলাম না।
ডেইলি স্টার: তারপরেও বিরোধীদল তো প্রশ্ন তুলতে পারে যে, আপনি আওয়ামী লীগের লোক?
ছহুল হোসাইন: আমার ক্ষেত্রে এ রকম কোনো প্রশ্ন তোলার সুযোগ আছে বলে আমি মনে করি না। আমি সারাজীবন যেকোনো কিছুর ঊর্ধ্বে থেকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করেছি। নির্বাচন কমিশন গঠনের ক্ষেত্রেও তাই করব। এর কোনো ব্যত্যয় হবে না।
ডেইলি স্টার: আপনি কি আশাবাদী যে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করতে পারবেন?
ছহুল হোসাইন: অবশ্যই আশাবাদী। আমাদের অবশ্যই এমন একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। দেশে বহু যোগ্য লোক আছেন। তাদের খুঁজে বের করেই একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। যারা সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে পারবে। সার্চ কমিটিতে অন্য যারা সদস্য আছেন, তাদের সবার সঙ্গে আমার সেইভাবে যোগাযোগ নেই। সবার সঙ্গে বসে আমরা একটা কর্মপন্থা বের করতে পারব বলে আশাবাদী।
ডেইলি স্টার: আপনি তো নির্বাচন কমিশনার হিসেবে কাজ করেছেন। সুতরাং প্রতিকূলতাগুলো জানেন। গত ২টা নির্বাচন কমিশন কেন এতটা বিতর্কের মুখে পড়ল? এর কোনো জবাব আছে আপনার কাছে?
ছহুল হোসাইন: না আমি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। এ বিষয়ে আমার কথা বলাটা ঠিক হবে না।
Comments