দেশে খাদ্য নিয়ে কোনো হাহাকার হবে না: কৃষিমন্ত্রী

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। ছবি: সংগৃহীত

কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, কৃষিমন্ত্রী হিসেবে বলতে চাই দেশে এ বছরও পর্যাপ্ত পরিমাণ চাল উৎপাদিত হয়েছে। দেশে খাদ্য নিয়ে কোনো হাহাকার হবে না, খাদ্যের কোনো সংকট হবে না।

আজ সোমবার টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে এ কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, 'ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এবং আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধিসহ নানা কারণে ভরা মৌসুমেও দেশের বাজারে চালের দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে শিগগির চালের বাজার স্বাভাবিক হয়ে আসবে।'

তিনি বলেন, 'কৃষিমন্ত্রী হিসেবে বলতে চাই দেশে এ বছরও পর্যাপ্ত পরিমাণ চাল উৎপাদিত হয়েছে। দেশে খাদ্য নিয়ে কোনো হাহাকার হবে না, খাদ্যের কোনো সংকট হবে না।'

'গত ১৪ বছরে আজকের দিন পর্যন্ত আ.  লীগের আমলে একজন মানুষও না খেয়ে মারা যায়নি, কোনো মানুষ না খেয়ে থাকার কষ্ট করেনি, বলেন তিনি।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, 'আমাদের যে সম্পদ আছে, বৈদেশিক মুদ্রার যে রিজার্ভ আছে তাতে যে কোনো পরিস্থিতি আমরা মোকাবিলা করতে পারব।'

তিনি আরও বলেন, 'আজকের আ. লীগ যে কোনো সময়ের তুলনায় অনেক সুসংহত, শক্তিশালী ও সচেতন এবং যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সক্ষম। দলের এই অবস্থাকে ধরে রাখতে হবে। সেজন্য যারা বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত ও শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দলের সুনাম ক্ষুণ্ণ করছে তাদেরকে দলের নেতৃত্বে আনা যাবে না। দলের বিপদে-আপদে সব আন্দোলন সংগ্রামে যারা সামনে থাকবে তাদের নেতা নির্বাচন করতে হবে, দলে জায়গা দিতে হবে।'

সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রিয়াজুল কবীর কাওছার, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক, সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন। পরে শহিদুল ইসলাম লেবুকে সভাপতি এবং আব্দুর রহিমকে সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করে উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়।  

Comments

The Daily Star  | English

The ceasefire that couldn't heal: Reflections from a survivor

I can’t forget the days in Gaza’s hospitals—the sight of dismembered children and the cries from phosphorus burns.

7h ago