পাঠক প্রতিক্রিয়া

‘টিসিবির গাড়ির পেছনে লাইন দেখলেই বোঝা যায় মাথাপিছু আয় কত’

স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

'খাতা কলমে যতই মাথাপিছু আয় দেখানো হোক জনগণের বর্তমান অবস্থা বোঝা যায় টিসিবির গাড়ির পেছনের লম্বা লাইন আর গ্রামের কৃষকের দিকে তাকালে।'

মাথাপিছু আয় নিয়ে দ্য ডেইলি স্টারের বাংলা অনলাইনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের নিচে করা পাঠকের মন্তব্য এটি।

আজ মঙ্গলবার দ্য ডেইলি স্টারে 'মাথাপিছু আয় এখন ২ হাজার ৮২৪ ডলার' শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। ফেসবুকে তা শেয়ার করা হলে দ্য ডেইলি স্টারের পেজে পাঠকরা বিভিন্ন কমেন্ট করেন।

মো. শরিফুল ইসলাম শুভ লিখেছেন, 'খাতা কলমে যতই মাথাপিছু আয় দেখানো হোক জনগণের বর্তমান অবস্থা বোঝা যায় টিসিবির গাড়ির পেছনের লম্বা লাইন আর গ্রামের কৃষকের দিকে তাকালে। যদিও সেদিকে ভ্রুক্ষেপ করার মতো জনপ্রতিনিধি নেই।'

মো. জহিরুল ইসলাম লিখেছেন, 'শ্রীলঙ্কার আয় করোনার পূর্বে ৪ হাজার ডলারের বেশি ছিল। আজ ওদের কী অবস্থা। আমাদের দেশে দুর্নীতি ও লুটপাট ওপেনলি চলছে। জানি না ভবিষ্যতে কি হবে?'

ফিরোজ লিখেছেন, 'সরকারের বাদ্যযন্ত্র বাদকরা সারাদিন ঢাকঢোল পিঠিয়ে প্রচার করতেছে মানুষের মাথাপিছু আয় দুই হাজার ডলারের উপরে। বেলা শেষে শুনছি মানুষের মাথাপিছু ঋণ ৪৩২ ডলার এটা আবার কেমন হিসাব।'

এনায়েত মৃধা লিখেছেন, প্রবাসীদের টাকা দিয়ে হিসাব করলে হইবো? আমার পরিবারের সদস্যদের মাথাপিছু আয় কোথায়?'

শুভ লিখেছেন, 'আয়টা কোন শ্রেণির বাড়ছে সেটাও একটা আলোচনার বিষয় হওয়া উচিত।'

জালাল উদ্দিন জালালের মন্তব্য, 'মন গড়া হিসাব, বাস্তবতা বলে কিছু নেই।'

এআর আতিকের ভাষ্য, 'আমরা রাতারাতি বড়লোক হয়ে গেছি এটা তার হিসাব। যেটা ফেক। কিন্তু আমরা দিনে দিনে ফকির হয়ে যাচ্ছি। তার হিসাব হচ্ছে আমাদের মাথাপিছু ঋণ। যেটার হিসাব আছে বিদেশিদের কাছে।'

মাজাহারুল ইসলাম লিখেছেন, 'তারা আসলে সবাই শুধু মুখেই বলে জনগণের জন্য রাজনীতি করেন। আসলে সব‌ই প্রহসন। দেশের সিংহভাগ সাধারণ লোকজন বাস্তবিক ক্ষেত্রে যখন তাদের আয় আর ব্যয় মিলাতে চরমভাবে হিমশিম খাচ্ছেন তখন একদল লোক আছে তাদের খাতাকলমে হিসাব মিলাতে।'

জসিম উদ্দিনের মন্তব্য, 'বাহ্ কী সুন্দর এগিয়ে যাচ্ছি আমরা। দেশের মানুষ যত অভাবে থাকে তত বেশি মানুষের আয় বাড়ে। এই জরিপ কী আওয়ামী লীগের মন্ত্রী, এমপি, নেতাকর্মীদের উপর করা হয় নাকি।'

মাহমুদ তানজিদ লিখেছেন, 'মাথাপিছু আয় তো! তারমানে আয়গুলো সব বড় বড় বোয়াল মাছের মাথার পেছনে আছে। কী সৌভাগ্য চারআনা আয় নাই অথচ আমি ডলারের মালিক।'

ওবাইদ বিন আহমেদ শিহাব লিখেছেন, 'যে আয় মানুষের মাথার পেছনে থাকে জনগণ যে আয় দেখতে পায় না থাকে মাথাপিছু আয় বলে।'

বুলবুল ফরাজির মতে, 'মানুষ খাবার পায় না আবার আয় ২৮০০ ডলার হায়রে কপাল আমার।'

সুজন মাহমুদ লিখেছেন, 'মাথাপিছু আয় হচ্ছে শুভংকরের ফাঁকি।'

মেহেদী পিন্টুর ভাষ্য, 'এর জন্যই তাহলে তেলের লিটার ২০০ টাকা, গরুর মাংস ৭০০ টাকা। তারপর বেগুন দিয়ে বেগুনি হয়না মিষ্টি কুমড়া দিয়ে বেগুনি হয়।'

রুবেল হালদার লিখেছেন, 'এই আয় শুধুমাত্র এমপি মন্ত্রীদের আর তাদের আত্মীয় স্বজনদের।'

মো. আজিজ রাইহানের ভাষ্য, 'মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি নিয়ে খুব বেশি তৃপ্তির ঢেকুর ফেলার কোনো কারণ নেই। মাথাপিছু ব্যয়, বিভিন্ন জিনিসপত্রের দাম কয়েকগুণ বেড়েছে।'

আব্দুর রাজ্জাক আকন্দ লিখেছেন, 'বিবিএস এর হিসেবে আমাদের মাথাপিছু আয় বেড়েই চলছে। কিন্তু হতদরিদ্রই যে বেড়ে চলছে করোনার জন্য?'

রিয়াদ সারোয়ার লিখেছেন, 'দ্রব্যমূল্যের এই বাজারে সাধারণ মানুষের সঙ্গে এইরকম নিষ্ঠুর রসিকতা আপনাদেরই মানায়।'

কামাল গাজি লিখেছেন, 'আমাদের শান্তি এতটুকুই। মন্ত্রীদের কথা শুনলে, নিজেদের খুব বড় লোক মনে হয়। ভাষণ শেষে দেখি তেল কেনার টাকা নেই।'

মো. শাহিন রেজা লিখেছেন, 'টিসিবির গাড়ির পেছনের লাইন দেখলেই বোঝা যায় মাথাপিছু আয় কতো।'

দিল মোহাম্মদ লিখেছেন, 'সাধারণ মানুষ এগুলো বুঝেনা। তারা বুঝে জিনিসপত্রের দাম কমান। পকেটে টাকা নেই, বলে মাথাপিছু আয়। এগুলা করে দেশটাকে শ্রীলঙ্কা বানানোর পায়তারা।'

কাজী জহির লিখেছেন, 'সাধারণ মানুষের পকেটের টাকা নানাভাবে বিশেষ শ্রেণির পকেটে চলে গেছে। আর সেই টাকা ১৮ কোটি দিয়ে এভারেজ করলেই কি সাধারণ মানুষ সেই টাকার মালিক হলো? বাংলাদেশের মানুষকে আরও ২০-৩০ বছর আগে যেভাবে বেকুব বানাতো এখনো সেই চেষ্টাই করা হচ্ছে।'

মো. আলাউদ্দিন আহমেদের মন্তব্য, 'দয়া করে ফাঁফা বেলুন দেখিয়ে মানুষের জীবন অতিষ্ঠ করবেন না প্লিজ। এডিবিতে যা বরাদ্দ হয় তার ৪০ শতাংশ কাজ হলে গত ১৫ বছরে মাথাপিছু মানুষের আয় হতো ৪ হাজার ডলারের উপরে। অথচ ভবিষ্যতের পরিকল্পনায় গ্রামীণ রাস্তা-ঘাট ও অবকাঠামো নির্মাণে কোন পরিকল্পনা জনগণ জানে না। অথচ গ্রামীণ রাস্তাও এখন ৪ লেন করা সময়ের দাবি।'

এমএনএন রুবেল লিখেছেন, 'এটার সুষম বণ্টন নেই। এক শ্রেণীর লোক এখনো দিনে এনে দিনে খাচ্ছে। আরেক শ্রেণীর লোকজন টাকা প্রচার করতেছে, উচ্চ বিলাসিতা করতেছে দেশের মাটিতে।'

মাসুদ হাসান লিখেছেন, 'মানুষের হাহাকার তো দিনদিন বাড়ছেই। তাহলে মানুষের মাথাপিছু আয় বাড়লে সে টাকা কার পকেটে যায়?? আমাদের মাথা বিক্রি করে কারা খায়? নাকি এরা মিথ্যাচার করে?'

বিশ্বজিৎ কুমার বিশ্বাসের মন্তব্য, 'এতো আয় বেড়েছে তো শ্রমিকের ঘণ্টা প্রতি মিনিমাম বেতন নির্ধারণ করেন। সব টাকা তো দেশের কয়েকজনের পকেটেই আছে। করোনার আগে মানুষের যে আয় ছিল তা এক টাকাও বাড়েনি। অথচ নিত্য প্রয়োজনীয় সব কিছুর দাম বেড়েছে। শ্রমিক ১০-১৫ ঘণ্টা কাজ করেও পরিবারের মুখে খাদ্য তুলে দিতে পারছেন না।' চিকিৎসার সুযোগ তো জিরো। এতোই আয় তো কানাডার মতো সব নাগরিকদের চিকিৎসার ব্যবস্থা রাষ্ট্র করুক।'

সাইমন সাব্বির লিখেছেন, 'আপনাদের এসব ধোঁকাবাজি পাবলিক এখন সব বুঝে। মাথাপিছু আয় কত, ঋণ কতো এসব বলে লাভ নেই। দেশের ভালো কীভাবে করা যায় ওগুলো বলেন। পণ্যের দাম কী করে কমানো যায় সেগুলো নিয়ে ভাবেন।'

মো. শাহীন আলমের ভাষ্য, 'এই আয়গুলো কার? শ্রমিক, রিক্সা-ভ্যান চালকের নাকি দুর্নীতিবাজদের দয়া করে এগুলো জানাবেন।'

শিপন দে লিখেছেন, 'ভুয়া মাথাপিছু আয় বাড়িয়ে কাল টাকা সাদা করার সুযোগ নিচ্ছেন। পাশাপাশি অবৈধ আয় বিদেশে পাচার করার সুযোগ নিচ্ছেন। ভালো তো চায়ের দামে শরবত খাচ্ছেন। দেশে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, এত এত লুটপাট হয়েছে সাধারণ মানুষ খুব খুব কষ্ট পাচ্ছে। তাছাড়া এত এত বৈদেশিক ঋণের বোঝা বাংলার মানুষ সহ্য করতে পাচ্ছে না।'

Comments

The Daily Star  | English

Dhaka airport receives 2nd bomb threat

Operations at HSIA continue amid heightened security

3h ago