জীবন্ত গাছ যেখানে বিদ্যুতের খুঁটি

গাছের মধ্যে দিয়ে বিদ্যুতের লাইন নেওয়া হয়েছে। ছবি: স্টার

খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলার একটি চাকমা পাড়ায় বিদ্যুতের খুঁটির পরিবর্তে প্রায় ১২টি জীবন্ত গাছের মধ্যে দিয়ে বিদ্যুতের লাইন নেওয়া হয়েছে। ২০১৫ সাল থেকে বিদ্যুৎ বিভাগ ঝুঁকিপূর্ণভাবে দুরপয্যনালা চাকমা পাড়ায় গাছকে খুঁটি হিসেবে ব্যবহার করে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে আসছে।

সে সময় থেকেই স্থানীয়রা বিষয়টি নিয়ে আতঙ্কে আছেন উল্লেখ করে পাড়ার বাসিন্দা রিতিময় চাকমা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘পাড়ার একমাত্র চলাচলের রাস্তার পাশে প্রায় ১২টি গাছে করে আমাদের পাড়ায় ২০১৫ সালে বিদ্যুতের লাইনের ব্যবস্থা করেছিল বিদ্যুৎ বিভাগ।’

‘পাড়ার স্কুলপড়ুয়া ছেলে-মেয়েসহ আমাদের সবসময় আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয়’, বলেন তিনি।

পাড়ার কারবারি কর্নেন্দু বিকাশ খীসা বলেন, ‘২০১৫ সালে মহালছড়ি উপজেলার বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা সুভাষ চৌধুরী বিদ্যুৎ দেবেন বলে আমাদের কাছ থেকে ৪৫ হাজার টাকা নিয়েছিলেন।’

‘বিদ্যুতের খুঁটির পরিবর্তে গাছে করে বিদ্যুতের লাইন দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে সে সময় সুভাষ বলেছিলেন, কিছুদিন পর বিদ্যুতের খুঁটি দেওয়া হবে’, বলেন তিনি।

যেকোনো সময় পাড়ার লোকজন বড় ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

এলাকার ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য টান্তু মনি তালুকদার বলেন, ‘বিদ্যুৎ বিভাগকে বিষয়টি নিয়ে বারবার বলা সত্ত্বেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।’

যোগাযোগ করা হলে মহালছড়ি উপজেলার বিদ্যুৎ বিভাগের প্রকৌশলী ইরাতোষ চাকমা ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘২০১৫ সালের প্রকৌশলী সুভাষ চৌধুরী বিদ্যুৎ লাইন দিয়েছিলেন। তিনি এই বিষয়ে ভালো বলতে পারবেন।’

‘এই মুহূর্তে আমাদের কিছুই করার নেই। বিদ্যুতের খুঁটির ব্যবস্থা করা সময় সাপেক্ষ বিষয়’, বলেন তিনি।

এ বিষয়ে জানতে সুভাষ চৌধুরীর মোবাইল নম্বরে ফোন দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

Comments

The Daily Star  | English

People will have to take to the streets for voting rights: Fakhrul

People will have to take to the streets like they did on August 5 to realise their voting rights, said BNP Secretary General Mirza Fakhrul Islam Alamgir today

42m ago