চরভদ্রাসনে জিও ব্যাগ ফেলেও থামানো যাচ্ছে না পদ্মার ভাঙন

গত ২ দিনে (শনি ও রবি) অন্তত ১০ মিটার প্রস্থ হয়ে আরও ২০ মিটার তীর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ছবি: সংগৃহীত

ফরিদপুরের চরভদ্রাসনের চরহরিরামপুর ইউনিয়নের সবুল্লা শিকদারের ডাঙ্গী গ্রামে পদ্মা নদীর ভাঙন অব্যাহত আছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ওই এলাকায় জরুরিভিত্তিতে বালি ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলেও ভাঙন রোধ করতে পারছে না।

নতুন করে ভাঙন দেখা দেওয়ায় গত ২ দিনে (শনি ও রবি) অন্তত ১০ মিটার প্রস্থ হয়ে আরও ২০ মিটার তীর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার বিকেল ৪টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৭টা পর্যন্ত ওই এলাকায় ভাঙনের ফলে ১২ মিটার নদীর তীর বিলীন হয়ে যায়। গত মঙ্গলবার থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙন রোধে কাজ শুরু করে। গত বছরও নদীর ওই এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছিল। তখন পানি উন্নয়ন বোর্ড বালি ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলেছিল। চলতি বছর বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলার জায়গায় নতুন করে ভাঙন দেখা দেয়। গত সোমবার থেকে রোববার পর্যন্ত নদীর পাড়ের ৩২ মিটার দৈর্ঘ্য হয়ে এবং ১০ মিটার প্রস্ত হয়ে ভাঙনের সৃষ্টি হয়।
ওই এলাকার বাসিন্দা আব্দুস সবুর অভিযোগ করেন, 'ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজ দায়সারা গোছের হচ্ছে। তাদের জিও ব্যাগ কোনো কাজে আসছে না।'

চর হরিরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর কবির বলেন, 'আমি রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সেখানে গিয়ে কম বালি ও মুখ সেলাই করা ছাড়া বালি ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলতে দেখেছি। বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের নজরে আনা হয়েছে।'

ভাঙ্গন রোধে তদারককারী পানি উন্নয়ন বোর্ডের কার্য সহকারী মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, 'গত শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ভাঙন কবলিত ওই এলাকায় ৫০টি জিও টিউব ও এক হাজার ২৮০টি জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে।'

ওই কাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৗশলী আলতাফ হোসেন বলেন, 'কাজের মান খুব ভালো হওয়ার কথা। বস্তায় যে পরিমাণ বালু ধরা আছে তার থেকে বেশি পরিমাণে ভরা হচ্ছে।'

Comments

The Daily Star  | English
Nat’l election likely between January 6, 9

EC suspends registration of AL

The decision was taken at a meeting held at the EC secretariat

2h ago