আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের রায়কে স্বাগত জানাল বাংলাদেশ

রোহিঙ্গা গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধ সংঘটনের অভিযোগে গাম্বিয়ার করা মামলায় মিয়ানমারের প্রাথমিক আপত্তি খারিজ করে দিয়েছেন আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)। আইসিজে’র এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ।
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আসছেন রোহিঙ্গারা: ফাইল ছবি

রোহিঙ্গা গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধ সংঘটনের অভিযোগে গাম্বিয়ার করা মামলায় মিয়ানমারের প্রাথমিক আপত্তি খারিজ করে দিয়েছেন আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)। আইসিজে'র এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ।

আইসিজে'র রায়ে আইনি ও পদ্ধতিগত ভিত্তিতে মিয়ানমারের ৪টি প্রাথমিক আপত্তিই প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।

বাংলাদেশ মনে করে, এই রায়ে রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধান খুঁজে বের করতে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতার প্রশ্নটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং তাদের বৈধ অধিকার পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে টেকসই প্রত্যাবাসনে আস্থা বৃদ্ধির উদ্যোগ হিসেবেও পরিগণিত হবে।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগের এই আদালতে মিয়ামারের আপত্তির বিষয়ে যুক্তিতর্ক শুনানি হয়েছিল।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নিপীড়নের শিকার হয়ে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা এখন বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। মিয়ানমারে সামরিক দমন-পীড়নের ফলে ২০১৭ সালে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক রোহিঙ্গা প্রবেশ করে। জাতিসংঘ যাকে 'গণহত্যার অভিপ্রায়' বলে অভিহিত করেছে।

রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা বন্ধ বা দোষীদের শাস্তি দিতে ব্যর্থ হওয়ায় গাম্বিয়া ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে আইসিজেতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে। মামলায় প্রাথমিক শুনানির পর আইসিজে তাদের দাবিগুলো যথেষ্ট শক্তিশালী বলে মনে করে এবং রাখাইন রাজ্যে গণহত্যা বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মিয়ানমারকে নির্দেশ দেয়।

২০২০ সালের ২৩ অক্টোবর গাম্বিয়া মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলায় ৫০০-পৃষ্ঠারও বেশি একটি স্মারক দাখিল করে। যেখানে দেখানো হয় কীভাবে তৎকালীন মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালিয়েছে।

তবে, মিয়ানমারের বেসামরিক সরকার ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার ঠিক আগে প্রাথমিক আপত্তি জানিয়েছিল এবং যুক্তি দিয়েছিল যে আদালতের এই মামলা শোনার এখতিয়ার নেই।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

5h ago