সড়ক দুর্ঘটনায় ২ সচিব নিহত: ১২ বছর পর বাসচালকের ৯ বছর কারাদণ্ড

মানিকগঞ্জ
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

মানিকগঞ্জের শিবালয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ সচিব নিহতের মামলায় ১২ বছর পর বাসচালককে ৯ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। 

মঙ্গলবার বিকেলে মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ উৎপল ভট্টাচার্য্য এই রায় দেন।

রায়ে, ২ লাখ ৭ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ৫ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বাসচালকের নাম আনোয়ার হোসেন। তার বাড়ি ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার কামারখোলা গ্রামে। রায় ঘোষণার সময় আদালতে তিনি অনুপস্থিত ছিলেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালের ৩১ জুলাই সকালে অফিসিয়াল গাড়িতে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া যাচ্ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব রাজিয়া বেগম এবং ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সংস্থার (বিসিক) চেয়ারম্যান ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সিদ্দিকুর রহমান। তাদের সঙ্গে ছিলেন গাড়িচালক ফজলুল হক ও দেহরক্ষী মো. ফজলুল। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের শিবালয়ের উথুলী সংযোগ মোড় এলাকায় দ্রুতি পরিবহনের একটি বাস তাদের গাড়িটিকে চাপা দিলে তারা গুরুতর আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ জেলা শহরের সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ২ সচিবকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত গাড়ির চালক ও দেহরক্ষীকে ঢাকায় জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পূনর্বাসন কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। 

এ ঘটনায় বিসিকের অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) শামসুল হক বাদী হয়ে শিবালয় থানায় একটি মামলা করেন। পরে এ মামলায় বাসের চালক আনোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জামিনে বের হওয়ার পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন।

২০১০ সালের ১৯ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও বরঙ্গাইল হাইওয়ে ফাঁড়ির তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুল ইসলাম ভূইঁয়া আসামি বাসচালক আনোয়ারের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। এ মামলায় ১০ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। 

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অতিরিক্ত সরকারি কৌসুঁলি (এপিপি) মথুরনাথ সরকার। তিনি বলেন, সব স্বাক্ষী ও তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক এই রায় দেন। জরিমানার অর্থ নিহত ২ পরিবারের মধ্যে সমবণ্টনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
 

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

9h ago