সাক্ষ্য আইনের দুটি ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট
ধর্ষণ মামলায় বিচারপ্রার্থীর চরিত্রকে প্রশ্নবিদ্ধ করে সাক্ষ্য আইনের এমন দুটি ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেছে ৩টি মানবাধিকার সংস্থা। আজ রোববার বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এবং নারী পক্ষ হাইকোর্ট বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট আবেদন করে।
জনস্বার্থে আবেদন দায়ের করে সাক্ষ্য আইন, ১৮৭২ এর ১৫৫(৪) এবং ১৪৬(৩) ধারা বাতিল করে আদালতের আদেশ প্রার্থনা করা হয়েছে।
সাক্ষ্য আইনের ১৫৫ (৪) ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি যখন বলাৎকার বা শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগে ফোজদারিতে সোপর্দ হন, তখন দেখানো যেতে পারে যে অভিযোগকারী সাধারণভাবে দুশ্চরিত্রের অধিকারী।
অন্যদিকে ১৪৬ (৩) ধারায় বলা হয়েছে, চরিত্রের প্রতি আঘাত করে তার বিশ্বাসযোগ্যতা সম্পর্কে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করা যায়, যদিও তার প্রশ্নের উত্তরের দ্বারা তিনি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অপরাধের সঙ্গে জড়িত হতে পারেন, তিনি দণ্ড লাভের যোগ্য সাব্যস্ত হতে পারেন কিংবা প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে তার দণ্ড লাভের যোগ্য সাব্যস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
আবেদনের পক্ষের আইনজীবী সারা হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, সাক্ষ্য আইনের এই দুটি ধারা ধর্ষণ মামলায় বিচারপ্রার্থীর চরিত্রকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। যা মৌলিক অধিকারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। আগেও এই দুটি ধারা বাতিলের দাবি উঠলেও কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। যে কারণে রিট আবেদন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আদালত এই আবেদন শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেননি।
Comments