মানিকগঞ্জে কলেজশিক্ষার্থী হত্যা মামলায় ২ আসামির যাবজ্জীবন

স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে কলেজশিক্ষার্থী আরিফ হোসেন হত্যা মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

আজ রোববার বিকেলে মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক উৎপল ভট্রাচার্য্য এ রায় দেন।

রায়ের আদেশে, যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি দণ্ডপ্রাপ্ত দু'জনকে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। অনাদায়ে আরও ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।

সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- জেলার দৌলতপুর উপজেলার লিংকন (৪০) এবং আলতাফ হোসেন (৪০)।

নিহত আরিফ উপজেলার কাকনা এলাকার মো. শুকুর আলীর ছেলে। তিনি মানিকগঞ্জ সরকারি দেবেন্দ্র কলেজের বাংলায় বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন।

অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) আইনজীবী মথুর নাথ দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য জানান।

মামলার বরাত দিয়ে তিনি জানান, আরিফ স্বাধীনতা দিবসের ছুটিতে বাড়িতে যান। ২০০৫ সালের ২৭ মার্চ রাত ৯টার দিকে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে আসামিরা মোটরসাইকেলে বাড়ি থেকে আরিফকে নিয়ে যান। পরের দিন আসামিরা বাড়ি ফিরলেও আরিফ আর ফিরে আসেননি। পরে অরিফের পরিবার খোঁজাখুজি করে না পেয়ে স্থানীয়দের নিয়ে আসামিদের ওপর চাপ সৃষ্টি করেন। তখন আসামিরা জানান, আরিফ উপজেলার ছিলমপুর গ্রামের পশ্চিমে ব্রিজের ওপর গিয়ে সেখানে থেকে যায়। পরে আরিফের পরিবার ব্রিজের নিচে আরিফের জুতা দেখতে পেয়ে পানিতে খোঁজাখিুজ শুরু করে। সেখানে কচুরিপনার নিচে মোটরসাইকেলের চাপা দেওয়া অবস্থায় ২৯ মার্চ তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় আরিফের বাবা বাদী হয়ে গত ৪ এপ্রিল দৌলতপুর থানায় ৯ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় পুলিশ ও সিআইডি তদন্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। পরে জুডিশিয়াল তদন্তের প্রতিবেদনে আসামিদের দোষ প্রমাণিত হলে ২ জনের যাবজ্জীবন ও একজন আসামি মামলা চলাকালীন মারা যাওয়ায় তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। অন্য ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় খালাস দেওয়া হয়।

এই মামলায় ১৯ জনের সাক্ষী গ্রহণ শেষে বিচারক এই রায় ঘোষণা করেন।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

18h ago