বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে হামলা: সালথা উপজেলা চেয়ারম্যানের জামিন নামঞ্জুর

ওদুদ মাতুব্বর। ছবি: সংগৃহীত

ফ‌রিদপু‌রের সালথায় বীর মুক্তিযোদ্ধা এলেম শেখের (৭৭) বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ওদুদ মাতুব্বরকে (৪০) কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ফরিদপুরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তরুণ বাছাড় এ আদেশ দেন।

ওদুদ মাতুব্বর গট্টি ইউনিয়নের কাঠিয়াগট্টি গ্রামের হোসেন মাতুব্বরের ছেলে। ২০০৮ সালের শেষের দিকে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন। তিনি গট্টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গট্টি ইউনিয়ন পরিষদের এক নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ছিলেন।

গত ৯ জুলাই এলেম শেখের বাড়িতে হামলার ঘটনায় তার স্ত্রী জয়গুন বেগম বাদী হয়ে ওদুদ মাতুব্বরসহ ৩৬ জনকে আসামি করে মামলা করেন। তাদের মধ্যে ওদুদ মাতুব্বরকে হুকুমের আসামি করা হয়।

বেআইনিভাবে একত্রিত হয়ে বসত বাড়ি ও ঘরে অনধিকার প্রবেশ করে মারপিট, চুরি, ক্ষতিসাধনসহ হুমকি ও হুকুম প্রদানের অভিযোগে মামলাটি করা হয়।

গত ৮ জুলাই বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের দিয়াপাড়া গ্রামে ওই মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে রামদা, ছ্যানদা, লোহার রড, হাতুরি, বাশেঁর লাঠি নিয়ে সংঘবদ্ধ জনতা হামলা করে ব্যাপক ভাঙচুর করে।

গত ১২ জুলাই মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান সালথা উপজেলা কমান্ডের সভাপতি মো. মাহবুব হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক জান-ই-মারজানার সই করা স্মারকলিপি দেওয়া হয় জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে।

স্মারকলিপিতে বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের নিরাপত্তার জন্য এজাহারভুক্ত সব আসামিকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার অনুরোধ জানানো হয়।

ফরিদপুরের ৬ নম্বর আমলি আদালতের জিআরও শ্যামল মিত্র জানান, আজ সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সালথা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ওদুদ মাতুব্বরসহ ৩৬ আসামির মধ্যে ৩৩ জন আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবদেন করেন। আদালতের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তরুণ বাছাড় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ওদুদ মাতুব্বরসহ ১১ জনের জামিন আবেদন নাকচ করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন, বাকি ২২ জনের জামিন মঞ্জুর করেন।

আদালতের আদেশের পর ওদুদ মাতুব্বরসহ মামলার ১১ আসামিকে কোর্ট এলাকা থেকে জেলা কারাগারে নেওয়া হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Dhaka airport receives 2nd bomb threat

Operations at HSIA continue amid heightened security

3h ago