পুলিশের ভয়ে ডোবায় ঝাঁপ দেওয়া যুবকের মরদেহ উদ্ধার, এসআই ক্লোজড

মিরপুরে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে ২ শ্রমিকের মৃত্যু
প্রতীকী ছবি। স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় ৪ দিন আগে পুলিশের অভিযানে ডোবায় ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ মোহাম্মদ বাবু (২৫) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করছে পুলিশ। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত এক পুলিশের উপ-পরিদর্শকে ক্লোজড করা হয়েছে।

বুধবার বিকেলে উপজেলার বাগবাড়ি এলাকা থেকে ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।

রাতে নিহতের মা লিলি বেগম বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখসহ ৮ থেকে ১০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলায় পুলিশ এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে।

বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিপক চন্দ্র সাহা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, '৪ দিন আগে এক নারীর করা জিডির ভিত্তিতে বন্দর পুলিশ ফাঁড়িরর উপ পরিদর্শক (এসআই) রওশন ফেরদৌস তদন্ত করতে যায়। ওই সময় পুলিশ দেখে পালিয়ে যেতে অভিযুক্ত বাবু একটি চারতলা ভবনের ছাদ থেকে ডোবায় লাফ দেয়। এরপর থেকে নিখোঁজ ছিল বাবু। গতকাল বুধবার বিকেলে ডোবায় বাবুর মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা খবর দিলে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।'

তিনি বলেন, 'বাবু ডোবায় লাফ দিলে স্থানীয় কয়েকজন যুবক ছাদ থেকে তাকে লক্ষ্য করে ইট দিয়ে ঢিল দেয়। ধারণা করা যাচ্ছে, ইটের আঘাতে পানিতে ডুবে মারা গেছেন তিনি। তবে ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা যাবে। এ ঘটনায় রাতে নিহত বাবুর মায়ের করা মামলায় রওশান আরা নামে এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।'

এলাকাবাসী জানান, একই এলাকার এক নারী বাবুসহ কয়েকজনের নামে থানায় নির্যাতন করে টাকা নেওয়ার অভিযোগ দেন। পুলিশ নিয়মিত বাবুকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযানে আসতো এবং হুমকি ধামকিও দিয়ে যেত। পুলিশের ভয়ে ময়লা আর্বজনায় ভরা ডোবায় লাফ দেন বাবু।

নিহত বাবুর মা লিলি বেগম সাংবাদিকদের বলেন, হত্যা মামলায় আসামি ধরতেও পুলিশ এতো বার অভিযান করে না। ওই পুলিশ কয়েকজন যুবককে নিয়ে দিনের মধ্যে কয়েকবার অভিযান চালিয়েছে। যার জন্য ভয়ে আমার ছেলে লাফ দেয়। কিন্তু আমার ছেলেকে ইট দিয়ে ঢিল ছুঁড়ে মেরে ফেলা হয়েছে। তখনও সঙ্গে সঙ্গে তুলতে দিলে আমার ছেলে বেঁচে যায়। কিন্তু ওই পুলিশ হুমকি দিয়েছে, প্রতিবাদ করলে এলাকাবাসীর ছবি তুলে নিয়েছে। যে কেউ কিছু করলে দেখে নেবে। আর আমার ছেলে নাকি পালিয়ে গেছে। যার জন্য কেউ খুঁজতে যায়নি। গত ২ মে নিখোঁজের ঘটনায় থানায় জিডিও করা হয়েছে।

এসআইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে ওসি দিপক চন্দ্র সাহা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ইতোমধ্যে অভিযুক্ত এসআই রওশন ফেরদৌসকে ক্লোজড করা হয়েছে। তার বিষয়ে তদন্ত করা হবে। অভিযোগ প্রমানিত হলে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Comments

The Daily Star  | English

Jatiyo Party's office set on fire in Khulna

Protesters vandalised the Jatiyo Party office in Khulna's Dakbangla area last evening

1h ago