চেম্বার আদালতে জামিন পাননি হাজী সেলিম, ১ আগস্ট পূর্ণ বেঞ্চে শুনানি

হাজী সেলিম। ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিম সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালতে জামিন পাননি।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশিদ আলম খান দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম হাজী সেলিমকে জামিন দেননি। কারণ এই আদালতে এ ধরনের আসামিকে জামিন দেওয়ার এখতিয়ার নেই।

তবে, শীর্ষ আদালতের বিচারক হাজী সেলিমের দায়ের করা জামিন আবেদনটি পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠান এবং শুনানির জন্য ১ আগস্ট দিন ধার্য করেন।

আজ সোমবার সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার বিচারক জামিন আবেদন নিয়ে সংশ্লিষ্ট আইনজীবীদের যুক্তি শুনে এই আদেশ দেন।

আইনজীবী খুরশিদ আলম খান আরও জানান, শীর্ষ আদালতের চেম্বার বিচারকের আদেশের অর্থ হলো- এই মামলায় হাজী সেলিমকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত জেল হেফাজতে থাকতে হবে। হাজী সেলিম বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিজন সেলে আছেন।

শুনানিতে হাজী সেলিমের আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা আদালতকে বলেন, তার মক্কেল সংসদ সদস্য, তার সামাজিক মর্যাদা আছে এবং এখন তিনি খুবই অসুস্থ তাই তাকে জামিন দেওয়া যেতে পারে।

তবে, দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান জামিন আবেদনের বিরোধিতা করে বলেন, আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চ হাজী সেলিমের লিভ টু আপিল আবেদন মঞ্জুর করে জামিন দিতে পারেন। কিন্তু, সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার বিচারক ১০ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত কোনো অপরাধীকে জামিন দিতে পারেন না।

হাজী মোহাম্মদ সেলিম গত ২৩ মে দুর্নীতি মামলায় সাজা ও ১০ বছরের কারাদণ্ড বহাল রাখার হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে তার আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজার মাধ্যমে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল আবেদন জমা দেন। ওই আবেদনে তিনি এই মামলায় জামিনও চেয়েছিলেন।

লিভ টু আপিল আবেদনের কথা উল্লেখ করে সিনিয়র আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাহা ডেইলি স্টারকে বলেন, হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের উৎসের বাইরে সম্পদ সংগ্রহের যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তার স্বপক্ষে কোনো দলিল বা প্রমাণ নেই।

এ ছাড়া হাজী সেলিম এর আগেও জামিনে ছিলেন এবং তিনি 'কখনো তার জামিনের অপব্যবহার করেননি' উল্লেখ করে এই আইনজীবী বলেন, হাজী সেলিম এখন গুরুতর অসুস্থ এবং স্বাস্থ্যের দিকে বিবেচনা করে তাকে এখন জামিন দেওয়া হতে পারে।

দুর্নীতির মামলায় হাজী সেলিমকে কারাগারে পাঠানোর একদিন পর গত ২৩ মে চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নেওয়া হয়।

২০০৮ সালে দায়ের করা দুর্নীতি মামলায় ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হাজী সেলিম গত ২২ মে ঢাকার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। কিন্তু, জামিন আবেদন নাকচ করে আদালত তাকে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠান।

চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট একটি রায় প্রকাশ করেন, সেখানে হাজী সেলিমকে এই মামলায় ৩০ দিনের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়।

২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় গত বছরের ৯ মার্চ নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখেন হাইকোর্ট।

Comments

The Daily Star  | English

Disrupting office work: Govt employees can be punished within 8 days

The interim government has moved to amend the Government Service Act-2018 to allow swift disciplinary action against its employees who will be found guilty of disrupting official activities.

6h ago