কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন ঝুমন দাশ

সুনামগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে আজ সন্ধ্যায় মুক্তি পান ঝুমন দাশ। ছবি: সংগৃহীত

সুনামগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন ঝুমন দাশ। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জ জেলা কারাগারের জেলার শরীফুল আলম দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, 'উচ্চ আদালতের আদেশ জেলা আদালত হয়ে কারাগারে পৌঁছালে সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে ঝুমন দাশকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।'

ঝুমনের আইনজীবী দেবাংশু শেখর দাশ দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, সন্ধ্যায় ঝুমন দাশের মা নিভা রানী দাশ কারা ফটকে তাকে নিতে উপস্থিত ছিলেন।

ছেলের মুক্তির পর এক প্রতিক্রিয়ায় ঝুমনের মা নিভা রানী দাশ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ঝুমনের মুক্তিতে অনেক খুশি হয়েছি। কিন্তু, আরও খুশি হতাম যদি মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে তাকে নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়া হতো।'

আপাতত পুলিশি প্রহরায় ঝুমনকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কিন্তু, সামনের দিনগুলোতে তার নিরাপত্তার বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন নিভা রানী দাশ।  

এর আগে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে (ডিএসএ) করা মামলায় ৬ মাসেরও বেশি সময় ধরে কারাগারে থাকা ঝুমন দাশ আপনকে গত ২৩ সেপ্টেম্বর শর্তসাপেক্ষে এক বছরের জামিন দেন হাইকোর্ট।

হাইকোর্টের আদেশে বলা হয়, সংশ্লিষ্ট নিম্ন আদালতের অনুমতি ছাড়া আগামী এক বছরের জন্য নিজ জেলা সুনামগঞ্জের বাইরে যেতে পারবেন না ঝুমন দাশ।

নিভা রানি দাশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মুস্তাফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কেএম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দিয়েছিলেন।

সাবেক হেফাজত নেতা মামুনুল হকের বক্তব্যের প্রতিবাদে ঝুমন দাস গত ১৬ মার্চ ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। ওই ঘটনাকে ধর্মীয় উস্কানির অভিযোগে মামুনুল হকের অনুসারীরা রাতে বিক্ষোভ মিছিল করেন এবং পুলিশ ওই রাতেই ঝুমনকে গ্রেপ্তার করে।

প্রায় এক সপ্তাহ পর ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার ঝুমনের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে। ওই মামালায় ৬ মাসের বেশি কারগারে থাকেন ঝুমন দাশ।

Comments

The Daily Star  | English
Tarique Rahman on preventing dictatorship

Election only way to promptly implement state reforms: Tarique

Urging the government not to take too much time in holding polls in the name of reforms, BNP Acting Chairman Tarique Rahman has said election is the only way to promptly implement the state-overhauling proposals by elected representatives

1h ago