ইভ্যালির রাসেল ও শামীমার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের আরেক মামলা
ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ইভ্যালির সাবেক চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ও তার স্বামী প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেলের বিরুদ্ধে ২৬ লাখ ৭৭ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন এক গ্রাহক।
সাভারের হেমায়েতপুরের বাসিন্দা জান্নাতুল ফেরদৌস আজ রোববার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদশ চন্দ্র অধিকারীর আদালতে ওই দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
শুনানি শেষে ম্যাজিস্ট্রেট বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন এবং ধানমণ্ডি থানার অফিসার ইনচার্জকে নিয়মিত মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেন।
অভিযোগে বলা হয়, ইভ্যালির চমকপ্রদ বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে তিনি ২৬ লাখ ৭৭ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যের পণ্যের অর্ডার করেন। তিনি ইভ্যালির অ্যাকাউন্টে সব টাকাও দিয়েছিলেন। কিন্তু, কোম্পানিটি পণ্য সরবরাহে ব্যর্থ হয়। অভিযোগকারী তখন ইভ্যালির কাছে তার অর্থ ফেরত দিতে বলেছিলেন। পরে ইভ্যালি অভিযোগকারীকে ৫টি চেক দেয়। তবে, হেমায়েতপুরের ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডে (ইউসিবি) জমা দেওয়ার পরে গত বছরের সেপ্টেম্বর এবং নভেম্বরে সবগুলো চেক বাউন্স করে।
এই ঘটনার পর বিষয়টি তিনি ইভ্যালিকে জানান। কিন্তু, ইভ্যালি জানায়, তারা টাকা পরিশোধ করতে পারবে না।
এর আগে, গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর গুলশান থানায় দায়ের করা অর্থ আত্মসাতের মামলায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসভবনে অভিযান চালিয়ে ইভ্যালির সাবেক সিইও মোহাম্মদ রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে ওই দম্পতির বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানার পাশাপাশি আদালতে আরও ৫টি অর্থ আত্মসাতের মামলা দায়ের করা হয়।
গত বছরের মার্চে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানতে পারে, ইভ্যালির পাওনার পরিমাণ মার্চের মাঝামাঝি পর্যন্ত ৪০৪ কোটি টাকা, যার মধ্যে গ্রাহকদের কাছে ২১৪ কোটি টাকা দায় রয়েছে।
৬টি মামলায় জামিন পাওয়ার পর, শামীমা ৬ এপ্রিল জামিনে মুক্তি পান এবং রাসেল কারাগার থেকে বের হতে পারেননি। কারণ আরও কিছু মামলায় তার জামিন বাতিল করা হয়।
Comments