অর্থ ‘পাচারকারীর’ খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিলের অনুমতি বিধি লঙ্ঘন কি না খতিয়ে দেখার নির্দেশ
বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লিমিটেড (বিসিবিএল) থেকে ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে নেওয়া ১৯৯ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিল করতে অভিযুক্ত অর্থপাচারকারীকে অনুমতি দেওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের বিরুদ্ধে বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন হাইকোর্ট।
বিপুল অংকের এই খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিলের সিদ্ধান্তে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে কোনো নিয়ম লঙ্ঘন করেছে কি না, হাইকোর্ট আজ মঙ্গলবার দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) তা খতিয়ে দেখার আদেশ দিয়েছেন।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকায় আজ মঙ্গলবার '১৯৯ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ: পাচারকারীকে পুনঃতফসিলের অনুমতি বাংলাদেশ ব্যাংকের' শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।
এ বিষয়ে শুনানিকালে হাইকোর্ট বেঞ্চ ডেইলি স্টারের প্রতিবেদনের বিষয়ে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খানের কাছে মতামত জানতে চান।
জবাবে খুরশিদ আলম খান বলেন, 'ডেইলি স্টারের প্রতিবেদন অনুযায়ী বিসিবিএল থেকে নেওয়া ১৯৯ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিল করতে একজন অর্থপাচারকারীকে অনুমতি দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক স্পষ্টতই আইন লঙ্ঘন করেছে।'
এই আইনজীবী আরও বলেন যে দুদকের পক্ষ থেকে এ অভিযোগের তদন্ত করা হচ্ছে বলে তাকে জানানো হয়েছে।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক হাইকোর্ট বেঞ্চকে এ বিষয়ে স্বতঃপ্রণোদিত রুল জারি করার আবেদন করেন।
এরপর বেঞ্চ বলেন, 'বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ও দুদক আছে। কিন্তু তারা সব কিছু করতে পারে না।'
দ্য ডেইলি স্টারের প্রতিবেদনে বলা হয়, কেন্দ্রীয় ব্যাংক অভিযুক্ত অর্থপাচারকারী শাহজাহান বাবলুকে বিসিবিএল থেকে নেওয়া ১৯৯ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিল করার অনুমতি দিয়েছে।
শাহজাহান বাবলুর মালিকানাধীন এসবি এক্সিমের খেলাপি ঋণের ৭১ কোটি টাকার সুদ মওকুফের অনুমতিও বিসিবিএলকে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, কোনো ব্যাংক জালিয়াতি করে নেওয়া কোনো খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিল করতে পারবে না।
এ ধরনের ক্ষেত্রে ব্যাংককে অবশ্যই আত্মসাৎকৃত অর্থ পুনরুদ্ধারের জন্য আদালতে মামলা করতে হবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
Comments