অসম্মতি থেকে ‘অ’ মুছে ৩৫ লাখ টাকার প্রকল্প পাস, কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

খুলনা জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এস এম মাহবুবুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

মন্ত্রণালয়ের চিঠি ঘষামাজা করে ৩৫ লাখ টাকার প্রকল্প পাস করিয়ে নেওয়ার অভিযোগে খুলনা জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এস এম মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের হয়েছে।

নিজের বাবার নামে প্রতিষ্ঠিত এতিমখানার জন্য তিনি এই জালিয়াতি করেছেন বলে তদন্তে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে।

খুলনা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আছাদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, 'গত ১১ সেপ্টেম্বর খুলনা জেলা পরিষদে এস এম মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। আরও কিছু প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে শুনানি হবে।'

এর আগে গত ৭ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে চিঠি দিয়ে মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

চিঠিতে বলা হয়, ২০১৬ সালের ৬ মার্চ স্থানীয় সরকার বিভাগের একটি পত্রের 'অসম্মতি' শব্দের 'অ' বর্ণটি মুছে ফেলে 'সম্মতি' শব্দ ব্যবহার করে বিকৃত করা হয়। খুলনা জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিজেই এতিমখানাটির সভাপতি। এই প্রকল্পে তার স্বার্থ সংশ্লিষ্টতা আছে।

মাহবুবুর রহমান আগে সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ছিলেন। এই জেলাতেই তার বাড়ি। ২০১৫ সালের ১২ জুলাই সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের এক সমন্বয় কমিটির সভায় সদর উপজেলার ধুলিহর ইউনিয়নে মুক্তিযোদ্ধা চেয়ারম্যান স. ম. আব্দুর রউফ কমপ্লেক্স ও এতিমখানার একাডেমিক ভবন নির্মাণের জন্য ৩৫ লাখ টাকা খরচের অনুমোদন চেয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়।

২০১৬ সালের ৬ মার্চ পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারি সচিব মো. জাকির হোসেন সই করা চিঠিতে এতিমখানা নির্মাণ প্রকল্পে ৩৫ লাখ টাকার অনুমোদনে অসম্মতি জানানো হয়। মাহবুবুর রহমান চিঠি থেকে 'অ' বর্ণটি মুছে ফেলে 'সম্মতি জ্ঞাপন করা হলো' মর্মে জাল চিঠিটি পরিষদকে কর্মকর্তাদের কাছে উপস্থাপন করেন। পরে জেলা পরিষদ থেকে প্রকল্পে অর্থ ছাড় করা হয়।

এ ব্যাপারে মন্তব্যের জন্য মাহবুবুর রহমানের মোবাইলে একাধিক বার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

Comments

The Daily Star  | English

10 segments to get 52% of ADP

For the first time, the planning ministry has used a digital budget planning system to categorise spending based on economic codes

10h ago