ভারতে পুলিৎজার জয়ী কাশ্মীরি সাংবাদিককে প্যারিস যেতে বাধা

রয়টার্সের কার্যালয়ে পুলিৎজার পুরস্কার বিজয়ী ফটোসাংবাদিক সান্না ইরশাদ মাত্তু। ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে সংগৃহীত
রয়টার্সের কার্যালয়ে পুলিৎজার পুরস্কার বিজয়ী ফটোসাংবাদিক সান্না ইরশাদ মাত্তু। ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে সংগৃহীত

কাশ্মীরের ভারত-অধ্যুষিত অঞ্চল থেকে আসা পুলিৎজার পুরস্কার বিজয়ী ফটোসাংবাদিক সান্না ইরশাদ মাত্তু দাবি করেছেন, তাকে ভারত কর্তৃপক্ষ দেশের বাইরে যেতে দেয়নি। কেনো তাকে বাধা দেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে কোনো সন্তোষজনক ব্যাখ্যাও তাকে দেওয়া হয়নি।

আজ কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

সান্না ইরশাদ মাত্তু জানান, তিনি নয়া দিল্লি থেকে শনিবার প্যারিসের উদ্দেশ্যে যাত্রা করতে চেয়েছিলেন।

২০২০ সালের সেরেনডিপিটি আর্লস গ্র্যান্টের ১০ বিজেতার একজন হিসেবে বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান ও ফটোগ্রাফি প্রদর্শনীতে যোগদানের উদ্দেশ্যে তিনি বিমানবন্দরে যান।

সম্প্রতি শ্রীনগরের বাসিন্দা মাত্তু বার্তা সংস্থা রয়টার্সের আরও ৩ সাংবাদিক সহ পুলিৎজার জেতেন। তার ছবির বিষয়বস্তু ছিল ভারতের করোনাভাইরাস সঙ্কট।

মাত্তু (২৮) বলেন, 'আমার ফ্লাইট ছিল শনিবার বিকেলে। ইমিগ্রেশনে আমাকে একপাশে সরিয়ে নিয়ে ৩ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে বলা হয়। আমি বারবার কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসা করেছি, কেন আমাকে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এক পর্যায়ে আমি ফ্লাইট মিস করি।'

মাত্তু জানান, তাকে পরবর্তীতে বলা হয়, তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না।

'তবে তারা এর কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি', যোগ করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, 'এটা অবিশ্বাস্য। আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। একজন কর্মকর্তা আমাকে কাশ্মীরের সঙ্গে যোগাযোগ করার উপদেশ দেন, কারণ সেখান থেকেই নাকি এ নির্দেশনা এসেছে। আমি বুঝতে পারছি না কেনো আমাকে থামানো হয়েছে।'

'আমি খুবই বিষাদগ্রস্ত। আমি দীর্ঘদিন ধরে এই সুযোগের অপেক্ষায় ছিলাম', যোগ করেন তিনি।

মাত্তু তার টুইটার অ্যাকাউন্টে টিকেট ও পাসপোর্টের ছবি শেয়ার করেন।

সাংবাদিক ও গণমাধ্যম পর্যবেক্ষকরা এই উদ্যোগের সমালোচনা করেছেন।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আরও কয়েকজন ভারতীয় সাংবাদিক ও অ্যাকটিভিস্ট দাবি করে, তাদেরকে বিদেশে যাওয়া থেকে ভারতের কর্তৃপক্ষ বাধা দিয়েছে।

 

Comments

The Daily Star  | English

Teknaf customs in limbo as 19 mt of rice, authorised by AA, reaches port

The consignment of rice weighing 19 metric tonnes arrived at Teknaf land port on Tuesday evening with the documents sealed and signed by the Arakan Army

4h ago