দেউলিয়া দেশ হিসেবে আলোচনায় অংশ নিচ্ছি: শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী

শ্রীলঙ্কা তীব্র জ্বালানী সঙ্কটে ভুগছে। লম্ছবা লাইনে অপেক্ষা করছেন বাইক চালকরা। ছবি : টুইটার থেকে নেওয়া
শ্রীলঙ্কা তীব্র জ্বালানী সঙ্কটে ভুগছে। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া

শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে জানান, এক সময় সমৃদ্ধিশালী দেশ হলেও শ্রীলঙ্কা এ বছর গভীর মন্দায় নিমজ্জিত হবে।

আজ মঙ্গলবার তিনি পার্লামেন্টে জানান, শ্রীলঙ্কা দেউলিয়া হয়ে গেছে এবং এই নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সঙ্কটের তীব্র বেদনা অন্তত আগামী বছরের শেষ পর্যন্ত সবাই অনুভব করবেন।

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ফুরিয়ে যাওয়ার পর থেকে দ্বীপ রাষ্ট্রটি দেশের বাইরে থেকে নিত্যপণ্য আমদানি করতে পারছে না। ফলে দেশটির ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি, নিয়মিত বিদ্যুৎ বিভ্রাট ও জ্বালানী তেলের সঙ্কটে ভুগছেন।

বিক্রমাসিংহে আরও জানান, দেশটিতে এ বছর খাদ্য, জ্বালানী ও ওষুধের তীব্র সঙ্কট অব্যাহত থাকবে।

পার্লামেন্টের উদ্দেশে তিনি বলেন, 'আমাদেরকে এ সব ঝামেলা ২০২৩ সালেও পোহাতে হবে।'

'এটাই সত্য। এটাই বাস্তবতা', যোগ করেন রনিল।

দেশের চরম বিপদেও ভেঙ্গে পড়েননি রনিল বিক্রমাসিংহে। ফাইল ছবি: রয়টার্স
দেশের চরম বিপদেও ভেঙ্গে পড়েননি রনিল বিক্রমাসিংহে। ফাইল ছবি: রয়টার্স

তিনি জানান, আগস্ট মাসের মধ্যে ঋণদাতাদের সঙ্গে ঋণ পুনঃতফসিলীকরণের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করার ওপর নির্ভর করছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে বেলআউট সংক্রান্ত আলোচনার ইতিবাচক ফল।

'আমরা এখন একটি দেউলিয়া দেশ হিসেবে আলোচনায় অংশ নিচ্ছি', জানান তিনি।

'যেহেতু আমরা দেউলিয়া হয়ে গেছি, আমাদেরকে টেকসই ঋণ পরিশোধ নিয়ে একটি আলাদা পরিকল্পনা জমা দিতে হবে। আইএমএফ এই পরিকল্পনায় সন্তুষ্ট হলে আমাদের মধ্যে একটি সমঝোতা হতে পারে', যোগ করেন রনিল।

আইএমএফ গত সপ্তাহে জানিয়েছে, শ্রীলঙ্কার আর্থিক পরিস্থিতিকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে আরও অনেক উদ্যোগ প্রয়োজন। আইএমএফের দাবি, নতুন তহবিলের জোগান নিশ্চিতের আগে আর্থিক ঘাটতির সংস্কার করতে হবে, যাতে ব্যালেন্স অব পেমেন্ট এর সমন্বয় করা যায়।

এ মুহূর্তে শ্রীলঙ্কায় পেট্রোলের মজুদ প্রায় শূন্যের কোঠায় এবং সরকার অত্যাবশ্যক নয় এরকম সব ধরনের পেট্রোল নির্ভর কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে।

জাতিসংঘের প্রাক্কলন মতে, এক সময় দক্ষিণ এশিয়ার সিংগাপুর নামে পরিচিত দেশটির প্রায় ৮০ শতাংশ পরিবার খাদ্য সঙ্কট ও রেকর্ড পরিমাণ উচ্চ মূল্যের সঙ্গে মানিয়ে নিতে এক বেলা কম খেতে বাধ্য হচ্ছেন।

 

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

4h ago