ফেসবুক গ্রুপ ডিএসইউ’র ৩ অ্যাডমিন গ্রেফতার
ফেসবুক গ্রুপ ডেসপারেটলি সিকিং - আনসেন্সরড (ডিএসইউ) এর তিন অ্যাডমিনকে গ্রেফতার করেছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বিশিষ্ট ব্যক্তি ও নারীদের সম্মানহানি করার অভিযোগে এদের গ্রেফতার করা হয়।
গত বুধবার দুপুরে রাজধানীর গ্রীনরোডের একটি বাসা থেকে কাউন্টার টেরোরিজম ও ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের একটি দল জুবায়ের আহমেদ (২১), তৌহিদুল ইসলাম অর্ণব (১৯) ও মো আসিফ রানাকে (১৮) গ্রেফতার করে। এসময় তাদের কম্পিউটারের হার্ড ডিস্কসহ বেশ কয়েকটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ডিএমপি গোয়েন্দা শাখার যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের জানান, মালয়েশিয়া প্রবাসী মোহাম্মদ রাউল চৌধুরী ডিএসইউ গ্রুপটি চালু করেন। এক লাখের বেশি সদস্যের গ্রুপটিতে প্রযুক্তির অপব্যবহার করে শুরু থেকেই মানুষকে হয়রানি করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
তিনি বলেন, “গ্রুপটির অ্যাডমিন ও তাদের সহযোগীরা ফেসবুক আইডি হ্যাকের সঙ্গে জড়িত ছিল। বিশেষ করে নারী মডেল, অভিনেতা ও কলেজ শিক্ষার্থীদের আইডি হ্যাক করে তাদের টাইমলাইনে পর্নোগ্রাফি দিয়ে সম্মানহানি করা হত”।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, অনেক ক্ষেত্রেই গ্রুপটির অ্যাডমিনরা অর্থ আদায়ের জন্য ব্ল্যাকমেইল করত। এদের ব্ল্যাক মেইলের শিকার ঢাকা মেডিকেল কলেজের এক শিক্ষার্থী সম্প্রতি আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন। তারা প্রথমে ওই শিক্ষার্থীর আইডি হ্যাক করে ও গ্রুপটিতে একটি ব্যক্তিগত ভিডিও পোস্ট করে যা পরবর্তীতে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে।
ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সহকারী কমিশনার এসএম জাহাঙ্গীর হাসান ডেইলি স্টারকে বলেন, যারাই গ্রুপটির সমালোচনা করে মতামত প্রকাশ করতেন, গ্রুপের অ্যাডমিনরা সম্মিলিতভাবে তাদের আইডি হ্যাক ও সম্মানহানি করার চেষ্টা করত।
গ্রেফতার অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া পুলিশ কর্মকর্তার দাবি, এই তিনজনের পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে তাদের অনলাইন কার্যক্রম দেখেছেন তিনি। তাদের সম্পর্কে তিনি বলেন, “এরা আসলে বিকৃত মানসিকতার মানুষ। তারা যেসব শব্দ ব্যবহার করেছেন তা বলার মতো নয়।”
অনলাইনে অনেকেই ডিএসইউ’র অ্যাডমিনদের গ্রেফতারকে স্বাগত জানিয়েছেন।
Comments