পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ, মুফতি হান্নানের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে বাধা নেই

নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামির শীর্ষ নেতা মুফতি হান্নানের মৃত্যুদণ্ডের রিভিউ আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। এর ফলে তার দণ্ড কার্যকরে আর কোন আইনি বাধা থাকলো না। স্টার ফাইল ফটো

বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনারের ওপর ২০০৪ সালের গ্রেনেড হামলা মামলার আজ পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেছেন সুপ্রিম কোর্ট। এর ফলে জঙ্গি নেতা মুফতি আব্দুল হান্নানের ফাঁসির প্রক্রিয়া শুরু করতে আর কোন বাধা রইলো না।

রায় প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার সাব্বির ফাইজ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের ফলে দণ্ড কার্যকরের প্রক্রিয়া শুরু করতে জেল কর্তৃপক্ষের পথ পরিষ্কার হয়ে গেলো।

তিনি বলেন, রায় এখন বিচারিক আদালত ও সিলেটের জেল কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।

এর পর মুফতি হান্নান ও অপর দুই মৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্ত আসামী শাহেদুল আলম বিপুল ও দেলোয়ার হোসেন রিপনকে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা চাওয়ার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হবে।

সাব্বির ফাইজ বলেন, তারা যদি প্রাণ ভিক্ষা না চায় বা রাষ্ট্রপতি মার্জনা না করলে জেল কর্তৃপক্ষ তাদের দণ্ড কার্যকর করবে।

গত রবিবার সুপ্রিম কোর্ট হরকাতুল জিহাদ আল-ইসলামির শীর্ষ নেতা মুফতি আব্দুল হান্নানসহ অন্যান্য দণ্ডপ্রাপ্তদের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন (রিভিউ) খারিজ করে দেন।

২০০৪ সালে সিলেটে হজরত শাহজালালের (র) মাজারে বাংলাদেশে জন্ম নেওয়া যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। বিস্ফোরণে পুলিশসহ তিন জন নিহত ও ৭০ জন আহত হন। হামলায় আনোয়ার চৌধুরীও আহত হন।

২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল মুফতি হান্নান, বিপুল ও রিপনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। এই মামলায় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনটির দুজন সদস্য মুহিব্বুল্লাহ ওরফে মুহিবুর রহমান ওরফে অভি ও মুফতি মইনউদ্দিন ওরফে আবু জান্দালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এর পর গত বছর ১১ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট ও মুফতি হান্নান ও বিপুলের আবেদনের প্রেক্ষিতে ৭ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্ট দণ্ড বহাল রাখার রায় দেন। এবছর ২৩ ফেব্রুয়ারি রায় পুনর্বিবেচনার জন্য আপিল করেন তারা।

Click here to read the English version of this news

Comments

The Daily Star  | English

Dhaka airport receives 2nd bomb threat

Operations at HSIA continue amid heightened security

1h ago