পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের প্রমাণ পায়নি কানাডার আদালত
পদ্মা সেতু প্রকল্পে কানাডীয় কোম্পানি এসএনসি-লাভালিনের শীর্ষস্থানীয় তিন জন কর্মকর্তার ঘুষ লেনদেনের ষড়যন্ত্রের প্রমাণ পায়নি দেশটির আদালত।
সিবিসি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অন্টারিও সুপিরিয়র কোর্টের বিচারক গতকাল এই মামলাটি খারিজ করে তিন কর্মকর্তাকে খালাস দিয়েছেন।
খালাস পাওয়া তিন জন হলেন, কেভিন ওয়ালেস, রমেশ শাহ ও জুলফিকার আলী ভূঁইয়া।
বাংলাদেশে পদ্মা সেতুর কাজ পেতে ঘুষ দেওয়ার ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ ছিলো এই তিন জনের বিরুদ্ধে।
গত মাসে সুপিরিয়র কোর্টের বিচারক ইয়ান নর্ডহেইমার অভিযোগের স্বপক্ষে প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপন করা টেলিফোন কথোপকথনের রেকর্ড বাদ দেওয়ার কথা বলেন।
মামলার একজন মুখপাত্র বলেন, অভিযোগের স্বপক্ষে প্রমাণ না পাওয়ায় অভিযুক্তদের খালাস দেওয়া হয়েছে।
এই মামলায় এসএনসি-লাভালিনের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কেভিন ওয়ালেসকে ২০১৩ সালে গ্রেফতার করা হয়।
২০১২ সালে পদ্মা সেতুর ১২০ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তি বাতিল করে বিশ্ব ব্যাংক। এর কারণ হিসেবে বলা হয়, সেতুর কাজ পেতে বাংলাদেশি ও কানাডিয়ান ফার্মের কর্মকর্তা ও কিছু ব্যক্তি ঘুষ লেনদেনের ষড়যন্ত্র করেছে এমন প্রমাণ তাদের হাতে রয়েছে।
ওই বছর বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) দুর্নীতি ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার অভিযোগে সেতু সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের তৎকালীন সুপারিন্টেনডেন্ট প্রকৌশলী কাজী মোহাম্মদ ফেরদৌস ও সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আহমেদ জাবেরের বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা করে।
এসএনসি-লাভালিনের স্থানীয় প্রতিনিধি মোহাম্মদ মোস্তফা ও সাবেক কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইসমাইল, রমেশ শাহ ও কেভিন ওয়ালেসের বিরুদ্ধেও অভিযোগ আনা হয়।
বিশ্বব্যাংকের পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয়, পদ্মা সেতুর পরামর্শকের কাজ পেতে এসএনসি-লাভালিনের কর্মকর্তারা সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনসহ বেশ কিছু বাংলাদেশি কর্মকর্তাকে ঘুষ দেওয়ার ষড়যন্ত্র করেন।
দুদক ২০১৪ সালে আদালতে পেশ করা তদন্ত রিপোর্টে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে জানায়।
Comments