আলী যাকের নেই আজ ১ বছর
খ্যাতিমান অভিনেতা ও নির্দেশক আলী যাকেরের আজ প্রথম প্রয়াণ দিবস। মঞ্চ আলোকিত করা একুশে পদক প্রাপ্ত নাট্যব্যক্তিত্ব আলী যাকের মারা যান ২০২০ সালের ২৭ নভেম্বর।
ঢাকার মঞ্চে তার অবদান বিশাল। তার পরিচালিত উল্লেখযোগ্য নাটকের মধ্যে রয়েছে—বাকি ইতিহাস, বিদগ্ধ রমণীকুল, তৈল সংকট, এই নিষিদ্ধ পল্লীতে, সৎ মানুষের খোঁজে, অচলায়তন, কোপেনিকের ক্যাপ্টেন, নুরুল দিনের সারাজীবন, কাঁঠাল বাগান।
মঞ্চ নাটক পরিচালনা ও অভিনয় দুটিই সমানতালে করে গেছেন তিনি। বিশেষ করে নুরুল দিন, গ্যালিলিও, দেওয়ান গাজী চরিত্রে অভিনয় করে আজও দর্শকদের মনে গেঁথে আছেন তিনি।
টেলিভিশন নাটকেও তার ছিল সফল পদচারণ। আলী যাকের অভিনীত 'বহুব্রীহি' নাটকের কথা এখনো মানুষের মুখে মুখে শোনা যায়। বহুব্রীহি নাটকে তিনি ফরিদ মামা চরিত্রে অভিনয় করেন। 'আজ রবিবার' নাটকে আসগর চরিত্রে অভিনয় করে তুমুল জনপ্রিয়তা লাভ করেছিলেন। এ ছাড়াও, 'অচিন বৃক্ষ', 'দেয়াল', 'তথাপি', 'পাথর' তার অভিনীত অন্যতম সেরা নাটক।
মঞ্চ ও টেলিভিশন নাটক ছাড়ও কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। তার মধ্যে রয়েছে—লাল সালু, নদীর নাম মধুমতী, রাবেয়া।
আলী যাকেরের প্রথম প্রয়াণ দিবসে অভিনেত্রী ফেরদৌসী মজুমদার বলেন, 'তার চলে যাওয়ায় মঞ্চ নাটকে বিশাল শূন্যতা তৈরি হয়েছে। মঞ্চ নাটককে আলোকিত করে গেছেন তিনি। দেওয়ান গাজীর চরিত্রে আলী যাকেরের মতো অভিনেতা আর কখনো আসবে কি না জানি না, হয়ত আসবে না। মঞ্চে ও টেলিভিশনে তার সঙ্গে অভিনয় করেছি, অসাধারণ অভিনয় ক্ষমতা ছিল।'
আসাদুজ্জামান নূর বলেন, 'দেখতে দেখতে ১ বছর হয়ে গেল। তার না থাকাটা আমার জন্য, আমাদের সবার জন্য অত্যন্ত বেদনার, অত্যন্ত কষ্টের। সময় কত দ্রুত চলে যায়।'
তিনি আরও বলেন, 'আলী যাকেরের কাছে আমি অনেক ঋণী। তার হাত ধরেই অভিনয়ে এসেছিলাম।'
মামুনুর রশীদ বলেন, 'স্বাধীন বাংলা বেতারে একসঙ্গে কাজ করার সময় আমরা দুজনেই কথা দিয়েছিলাম, দেশ স্বাধীনের পর নাটক করব। সেভাবেই নাটক শুরু করি। একটা জীবন আমরা নাটকের সঙ্গে কাটিয়ে দিলাম। আমার পরিচালনায় আলী যাকের প্রথম মঞ্চ নাটকে অভিনয় করেছিলেন ১৯৭২ সালে।'
আবুল হায়াত বলেন, 'মঞ্চের রাজা আলী যাকের। মঞ্চে অভিনয় ও নির্দেশনায় শিখরে পৌঁছেছিলেন। তার প্রয়াণ দিবসে কেবলই প্রার্থনা এবং ভালোবাসা।'
Comments