হিন্দি সিনেমা চালাতে চান হল মালিকরা

স্টার ফাইল ফটো

মানসম্মত বাংলা সিনেমা না থাকায় লোকসানের শঙ্কা দেখিয়ে ভারতীয় সিনেমা আমদানির দাবি তুলেছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির নেতারা। গত ১২ মে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে হল মালিকদের এক মতবিনিময় সভায় এ দাবির কথা জানিয়েছিলেন সংগঠনের নেতারা।

সেখানে প্রদর্শক সমিতির উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস বলেন, 'হল মালিকেরা ঋণ নিতে খুবই আগ্রহী। কিন্তু, ঋণ নিয়ে টাকাটা সুদসহ ফেরত দিতে গেলে সিনেমা চালিয়েই ফেরত দিতে হবে। এখন দেশে যে সিনেমাগুলো হচ্ছে- সেই সিনেমা চালিয়ে ঋণের টাকা ফেরত দেওয়ার সম্ভাবনা নেই। এ কারণেই হল মালিকেরা দোদুল্যমান অবস্থায় আছেন। হিন্দি সিনেমা আমদানির অনুমতি দিলে আমাদের জন্য ভালো হয়।'

ঢাকার মধুমিতা হলের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গত ঈদুল ফিতরে দেশি সিনেমা দিয়ে ভালো ব্যবসা করেছিলাম। তবুও বর্তমানে অনেক বাজে পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে পথে বসতে হবে আমাদের। একজন পান বিক্রেতা আমাদের চেয়ে প্রতিদিন বেশি আয় করেন। ভালো গল্প, নির্মাতা, অভিনয়শিল্পী দিয়ে সিনেমা বানাতে হবে। সেন্সর বোর্ড সংশ্লিষ্টদের কাছে শুনি, আগামী যে সিনেমাগুলো আসছে খুব ভালো মানের নয়। সেখান থেকে সিনেমাহল বাঁচাতে হলে অবশ্যই হিন্দি সিনেমা আমদানি করতে হবে। তা না হলে আমাদের সিনেমাহল বন্ধ করে দিতে হবে। সিনেমাশিল্প ঘুরে দাঁড়াতে হিন্দি সিনেমা আমদানি জরুরি হয়ে পড়েছে।'

বগুড়ার মধুবন সিনেপ্লেক্সের রুবেল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কোনোভাবেই সিনেমাহলে দর্শক ফেরাতে পারছি না আমরা। এখান থেকে সিনেমাহল বাঁচাতে হলে অবশ্যই হিন্দি সিনেমা আমদানি করে চালাতে হবে। না হলে সিনেমাহল বাঁচানো সম্ভব নয় বলে আমার বিশ্বাস। বাংলা সিনেমা চলুক পাশাপাশি হিন্দি সিনেমা আমদানি করা হোক। এভাবে চলতে থাকলে সিনেমাহল বন্ধ করে দিয়ে অন্য ব্যবসায় যেতে হবে।'

শ্যামলী সিনেমার কর্মকর্তা আহসান উল্লাহ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'হিন্দি সিনেমা আমদানি করে দেখাতে পারলে আমাদের কিছুটা দর্শক বাড়বে বলে আশাকরি। বাংলা সিনেমার পাশাপাশি হিন্দি সিনেমা চললে আমরা বাঁচতে পারব। আশাকরি চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সব সংগঠনকে ঐকমত্যে আসবেন এ বিষয়ে।'

Comments

The Daily Star  | English
narcotics cases pending despite deadline

4.8 lakh narcotics cases pending despite deadline

Judge shortage, lack of witnesses, inadequate court infrastructure blamed for delays

7h ago