আমার দিন শেষ হওয়ার কিছুই নেই: নিপুণ

নিপুণ। ছবি: স্টার

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী নিপুণ। অভিনয়ের পাশাপাশি চলচ্চিত্র শিল্পীদের পাশে থাকেন সবসময়। অনেকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছে, শিল্পীদের সংগঠন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নেতৃত্বে আসছেন তিনি।

দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে নিপুণ বলেছেন শিল্পী সমিতির নির্বাচন, বর্তমান ব্যস্ততাসহ অনেক না বলা কথা।

nipun
অভিনেত্রী নিপুণ। ছবি: দ্য ডেইলি স্টার

চলচ্চিত্রের সবচেয়ে ক্ষমতাধর নায়িকা বলা হয় আপনাকে। এর কারণ কী?

আমি আমার ঘরে যতোটা না সময় দিয়েছি, আমার মেয়ে আর মায়ের সঙ্গে কথা বলেছি, তার চেয়ে বেশি সময় কথা হয়েছে চলচ্চিত্রের মানুষের সঙ্গে। তাদের যে কোনো বিপদে-আপদে ঝাঁপিয়ে পড়েছি। ১৬ বছরে এই ইন্ডাস্ট্রির মানুষের জন্য কিছু করার চেষ্টা করেছি। সেই কারণে হয়তো আমাকে ক্ষমতাধর নায়িকা বলা হয়। এ ছাড়া অন্য কোনো কারণ দেখি না।

শিল্পী সমিতির কোন পদে নির্বাচন করার ইচ্ছা আছে?

ইন্ডাস্ট্রির প্রতি আমার একটা দায়বদ্ধতা আছে। এই ইন্ডাস্ট্রি আমাকে অনেক দিয়েছে, তার ঋণ কিছুটা হলেও শোধ করতে চাই। এবারের নির্বাচনে আপনারা আসল শিল্পীদের পাবেন। সবাই একটা টিম হিসেবে কাজ করবো। টিম যেভাবে চাইবে সেভাবে নির্বাচন করব। এখানে কোনো পদ গুরুত্বপূর্ন না। কোনো চেয়ার চাই না, চলচ্চিত্রের সুস্থ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সর্বোচ্চ চেষ্টাই আমাদের লক্ষ্য।

বর্তমান শিল্পী সমিতির কমিটির কার্যক্রম কেমন?

এখন যারা শিল্পী সমিতির দায়িত্বে আছেন, তারা করোনা মহামারির সময়ে বিভিন্ন শিল্পীদের বিপদে পাশে থেকেছেন। যেভাবে পেরেছেন কমবেশি সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন। এ জন্য তাদের প্রশংসা না করে উপায় নেই।

চলচ্চিত্রের অনেকেই বলেন, সিনেমায় আপনার দিন শেষ।

একজন শিল্পীর দিন কখনোই শেষ হয়ে যায় না। একজন শিল্পী আজীবন অভিনয় করতে পারেন। এখন তো গল্পপ্রধান অনেক সিনেমা হচ্ছে। গল্পপ্রধান সিনেমা হলে সবাই অভিনয় করতে পারেন।

কয়েকদিন আগে রোজিনা আপু বৌ সেজে একটা ফটোশুট করেছেন। সেখানে আমার চেয়ে বেশি সুন্দর লেগেছে তাকে। এ ছাড়া এখন আমার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকি। আমার দিন শেষ হওয়ার কিছুই নেই।

Comments

The Daily Star  | English

Penalty less than illegal gains fuels stock manipulation

While fines are intended to deter future offences, questions remain over their effectiveness if the amount is lower than the illegal gain.

12h ago