রপ্তানি নিষেধাজ্ঞায় ভারতের বাজারে গমের দাম কমছে
রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর থেকে ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে গমের দাম কমতে শুরু করেছে, যা আরও কমতে পারে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
তবে, এই দাম কুইন্টাল প্রতি ২ হাজার ১৫ টাকার নিচে নামার সম্ভাবনা কম বলেও তারা ধারণা করছেন। কেননা, বাজারে এখনো সরবরাহের চেয়ে চাহিদা বেশি আছে।
ভারতের বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত শনিবার থেকে প্রতি কুইন্টাল গমের গড় দাম ১০০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত কমেছে এবং সামনে আরও অন্তত ১০০ টাকা কমতে পারে।
বাজার সংশ্লিস্টরা বলছেন, ভারত তাদের গমের মজুদের 'ন্যায্য ও যথাযথ' ব্যবহার নিশ্চিত করতে চায়, বিশেষ করে বিশ্বের অভাবী দেশগুলোর চাহিদা পূরণের জন্য।
তাদের ভাষ্য, এই নিষেধাজ্ঞা গম মজুত করে দাম বাড়ানোর চেষ্টাকে নস্যাৎ করে দেবে। এছাড়া এই উদ্যোগ খাদ্য মূল্যস্ফীতিকেও প্রতিহত করবে।
ভারতের গম শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য, গম নিয়ে বিশ্ববাজারে চীনা ব্যবসায়ীরা কারসাজি করার চেষ্টা করছিলেন। এ ছাড়া অন্যান্য দেশকে তাদের চাহিদা পূরণের জন্য নিজ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অনুমতি ও অনুরোধের ভিত্তিতে রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হবে। ভারতের গম এখন থেকে অভাবী দেশগুলোতে যাবে।
গত সপ্তাহে ভারত সরকারের দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, দেশটির বাজারে বাড়তে থাকা গমের দাম নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপের অংশ হিসাবে দেশটি গম রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে।
যদিও ভারতের সংবাদপত্রগুলো আজ সোমবার সম্পাদকীয়তে গম রপ্তানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করে বলেছে যে এটি ভারতের বিশ্বাসযোগ্যতাকে 'ক্ষতিগ্রস্ত' করেছে।
এ ব্যাপারে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকার সম্পাদকীয়তে বলা হয়, 'এই সিদ্ধান্তে কেবল বাজে অর্থনীতির জন্যই নয়, ভারতের আন্তর্জাতিক বিশ্বাসযোগ্যতার জন্যও অত্যন্ত ক্ষতিকর।'
এতে আরও বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এমন সংকটের সময় বিশ্বকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছিলেন। তার পরেও এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
হিন্দুস্তান টাইমসের সম্পাদকীয়তে মন্তব্য করা হয়েছে, 'ভারতের কৃষি বাণিজ্য নীতি আবার তার স্বাভাবিক চেহারায় ফিরেছে। রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তটি কি সবার জন্য সুস্পষ্টভাবে উপকারী?'
এর বাইরে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ও দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদকীয়তেও গম রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের সমালোচনা করা হয়।
Comments