বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্যে চট্টগ্রাম-মোংলা বন্দর ব্যবহারের ট্রায়াল রান শুরু

কলকাতা বন্দর। ছবি: সংগৃহীত

বাণিজ্যে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার বিষয়ক চুক্তি পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়নে ৪টি ট্রায়াল রানের প্রথমটি শুরু করেছে ভারতের কলকাতা বন্দর। আজ শনিবার এ ট্রায়াল রান শুরু হয়।  

ভারত-বাংলা প্রোটোকল রুটে অভ্যন্তরীণ জলপথ ব্যবহার করে ব্যবসায়িক গতি বাড়ানোর লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে কলকাতার শ্যামা প্রসাদ মুখার্জি বন্দরের (এসএমপি)  চেয়ারম্যান বিনিত কুমার বলেন, 'আমাদের ট্রায়াল রান করার জন্য বলা হয়েছে এবং এটি ৬ মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে। সব গন্তব্য বাংলাদেশে।'

মোংলা থেকে তামাবিল, তামাবিল থেকে চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম থেকে শেওলা (স্থল সীমান্ত) এবং মোংলা থেকে বিবিরবাজার রুটে এসব ট্রায়াল চলবে।

মোংলা-তামাবিল এবং মোংলা-বিবিরবাজার (কুমিল্লার স্থলবন্দর) রুটে ট্রায়ালের জন্য ট্রানজিট কার্গো আজ কলকাতা ছেড়েছে বলে জানিয়েছেন বিনিত কুমার।  

মায়েরস্ক লাইন ইন্ডিয়া এই ২টি ট্রায়াল রান করার জন্য সিএমপির অংশীদার হিসেবে কাজ করছে।

বিনিত কুমার আরও জানান, জাহাজটি তামাবিল-ডাউকি সীমান্ত পয়েন্ট ব্যবহার করে মেঘালয়ে পৌঁছানোর জন্য নির্ধারিত একটি কন্টেইনারে ইলেক্ট্রোস্টিল কাস্টিংস লিমিটেডের ১৬ টন লোহার পাইপ এবং বিবিরবাজার-শ্রীমন্তপুর সীমান্ত পয়েন্ট ব্যবহার করে আসামের জন্য আরেকটি কনটেইনারে ৮ দশমিক ৫ টন প্রিফোম নিয়ে ৫ আগস্ট মোংলা পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ভারত-বাংলাদেশ প্রোটোকল রুটের মাধ্যমে কলকাতা বন্দর থেকে ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোতে কার্গো চলাচল ট্রানজিট শুধু ব্যয় ও সময়ই কমাবে না, অর্থনীতির বিকাশেও সাহায্য করবে।

ভারত থেকে পণ্য পরিবহনের জন্য চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার সংক্রান্ত একটি চুক্তি এবং স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি ২ দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছে।

মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত ১৩তম ভারত-বাংলাদেশ জয়েন্ট গ্রুপ অফ কাস্টমস (জেএসসি) বৈঠকের পর ট্রায়াল রান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন এসএমপি চেয়ারম্যান।

Comments

The Daily Star  | English

Cyber protection ordinance: Draft fails to shake off ghosts of the past

The newly approved draft Cyber Protection Ordinance retains many of the clauses of its predecessors that drew flak from across the world for stifling freedom of expression.

6h ago