খেলাপির ২ শতাংশ পরিশোধ করে ঋণ পাবেন চামড়া ব্যবসায়ীরা

স্টার ফাইল ছবি

ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর চামড়া কিনতে প্রয়োজনীয় তহবিল নিশ্চিতে ব্যবসায়ীদের বিশেষ ঋণ সুবিধা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে আগের দেওয়া ঋণ খেলাপি হলে মাত্র ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্টে দিয়ে পুনঃতফসিল করা যাবে।

আগামী ১০ জুলাই ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতি বছর  দেশে উৎপাদিত কাঁচা চামড়ার প্রায় অর্ধেক আসে ঈদুল আজহায় কোরবানি করা পশু থেকে।

গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলারে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 
 
সেখানে আরও বলা হয়েছে, নতুনভাবে কোভিডের সংক্রমণ বৃদ্ধি, বৈশ্বিক যুদ্ধাবস্থা এবং সাম্প্রতিক সময়ে দেশের কয়েকটি এলাকায় সংঘটিত আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে চামড়া ব্যবসায়ীদের (কাঁচা চামড়া ক্রয়-বিক্রয়/প্রক্রিয়াজাতকরণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ট্যানারি শিল্পসহ চামড়া খাতের সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান/শিল্প) আগামী কোরবানির মৌসুমে প্রয়োজনীয় অর্থের সরবরাহ নিশ্চিত করতে নিচের নীতিমালা অনুসরণ করতে ব্যাংকগুলোকে বলা হয়েছে।

সেগুলো হলো, কোরবানির পশুর চামড়া ক্রয়ের উদ্দেশে ইতোপূর্বে বিতরণ করা ঋণ বা ঋণের অংশবিশেষ খেলাপি হয়ে থাকলে সংশ্লিষ্ট ঋণগ্রহীতার গোডাউনে স্টক অথবা সহায়ক জামানত থাকা সাপেক্ষে উক্ত খেলাপি ঋণের বিপরীতে ন্যূনতম ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট গ্রহণ সাপেক্ষে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে পুনঃতফসিল করা যাবে।

পুনঃতফসিলিকরণ পরবর্তীতে ব্যাংকিং নিয়মাচার অনুসরণ করে তফসিলি ব্যাংকসমূহ ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ঋণগ্রহীতার সক্ষমতা যাচাই সাপেক্ষে ২০২২ সালে কোরবানি দেওয়া পশুর কাঁচা চামড়া কেনার উদ্দেশ্যে ঋণ বিতরণ করতে পারবে।

২০২২ সালে কোরবানি দেওয়া পশুর চামড়া কেনার উদ্দেশ্যে নতুন ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে কোনো কম্প্রোমাইজড অ্যামাউন্ট আদায় করা যাবে না। কোরবানি দেওয়া পশুর কাঁচা চামড়া ক্রয়ের উদ্দেশে বরাদ্দ করা ঋণের সুষ্ঠু বিতরণ নিশ্চিতকরণসহ তৃণমূল পর্যায়ে চামড়া ক্রয়-বিক্রয় কার্যক্রমে জড়িতদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। শরিয়াহভিত্তিক পরিচালিত ব্যাংকসমূহ এই নীতিমালা অনুসরণ করে বর্ণিত উদ্দেশ্যে বিনিয়োগ করতে পারবে। এই সুবিধা ২০২২ সালের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বলবত থাকবে।

Comments

The Daily Star  | English
Dhaka University Madhur Canteen

Madhur Canteen: The story of an eatery and Bangladesh

If one says Madhur Canteen and Bangladesh’s history is inextricably interlinked, will it be an exaggeration?

15h ago