রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের কথা ভাবছে অস্ট্রেলিয়া
মস্কোতে গতকাল বুধবার কয়েকজন আমেরিকান কূটনীতিককে অবাঞ্ছিত ঘোষণার একদিন পরই আজ অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিস পেইন জানিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়ায় রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের বিষয়টি ফেডারেল সরকারের বিবেচনাধীন রয়েছে।
আজ এবিসি রেডিওকে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাশিয়ার অবৈধ যুদ্ধের বিরুদ্ধে একটি অত্যন্ত শক্তিশালী এবং ঐক্যবদ্ধ জোট রয়েছে। সেই জোটের কিছু সিদ্ধান্ত রয়েছে। আমরা জোটের অংশীদার হিসেবে তা অনুসরণ করছি।
গত মাসে অস্ট্রেলিয়া রাশিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের ৮ সদস্যের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা এবং আর্থিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় ব্যাংক এবং প্রতিরক্ষা সম্পর্কযুক্ত ব্যাংকগুলো এই নিষেধাজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত ছিল।
ইউক্রেনের রাশিয়ার আগ্রাসনের পরিপ্রেক্ষিতে ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনের আগে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেইন জানিয়েছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে অন্যান্য দেশগুলোর একটি ঐক্যফ্রন্ট সম্মিলিতভাবে কাজ করছে।
গত মাসে ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে অস্ট্রেলিয়া রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত এবং তার কূটনীতিকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে। তাদের সঙ্গে চলমান যুদ্ধ নিয়ে কয়েক দফা আলোচনাও হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সিনেটর পেইন বলেন, রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনকে এ বছরের শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানের অনুমতি দেওয়া উচিত কিনা তা নির্ধারণের জন্য অস্ট্রেলিয়া অন্যান্য জি-২০ দেশগুলোর সঙ্গে কথা বলছে।
অক্টোবরে ইন্দোনেশিয়ায় জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে এবিসি রেডিওকে তিনি বলেন, 'এগুলো অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয়, যা কেবল জি-২০ এর সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। এগুলো একাধিক আন্তর্জাতিক এবং বহুপাক্ষিক সংস্থার সঙ্গে সম্পর্কিত। এটি এমন একটি বিষয় যা আমাদের সমাধান করতে হবে। ইউক্রেনের মতো একটি দেশে অবৈধ আগ্রাসনের মূল্য পরিশোধ করতে হবে রাশিয়াকে।'
আকিদুল ইসলাম: অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখক, সাংবাদিক
Comments