ভিজিট ভিসায় আমিরাতগামীদের হয়রানি না করার নির্দেশনা সংসদীয় কমিটির
ভিজিট ভিসায় সংযুক্ত আরব আমিরাতগামীদের বিমানবন্দরে কোনো ধরনের হয়রানি না করতে সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দিয়েছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
আজ রোববার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়। এ ছাড়া, প্রবাসী কর্মীদের সহজে ই-পাসপোর্ট প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে বলেছে সংসদীয় কমিটি।
ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভিজিট ভিসায় আরব আমিরাতগামী যাত্রীদের ইমিগ্রেশনে হয়রানি করা হয়—এমন খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে হয়রানির বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।
আজ সংসদীয় কমিটির বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি আনিসুল ইসলাম মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, 'ভিজিট ভিসায় আরব আমিরাতে যারা যাচ্ছেন, তাদের নানা ধরনের হয়রানির কথা গণমাধ্যমে আসছে। আমরা মন্ত্রণালয়েকে বলেছি, এই হয়রানি যাতে না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। যাদের ভিজিট ভিসা আছে, তাদের যদি ভিসা বৈধ হয়, সরকারের পক্ষ থেকে যদি তাদের বিষয়ে কোনো আপত্তি না থাকে, তাহলে বিমানবন্দরে তাদের আটকানো যাবে না।'
তিনি বলেন, 'বৈধ পাসপোর্ট, ভিসা থাকার পরেও কাউকে আটকাবে কেন? এটা বন্ধ করতে হবে।'
প্রবাসী কর্মীদের ই-পাসপোর্ট প্রাপ্তি সহজ করার বিষয়ে আজ কমিটির বৈঠকে আলোচনা হয়। বৈঠকে ই-পাসপোর্টের বিদ্যমান সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
এ বিষয়ে কমিটির সভাপতি বলেন, 'বিদ্যমান পাসপোর্টে অনেক সময় নাম, ঠিকানা ভুল থাকে। ই-পাসপোর্ট নেওয়ার সময় সেটা ঠিক করতে অনেক ভোগান্তি হয়। এখানে-ওখানে যেতে হয়। এনআইডিতে যদি ত্রুটি থাকে সেটা ঠিক করতে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়। আমাদের প্রবাসী কর্মীদের অনেকেই খুব যে শিক্ষিত এমন নয়। তাদের কিছু ভুল হয়ে যায়। ই-পাসপোর্ট করার সময় তারা ঝামেলায় পড়েন। পাসপোর্ট দিতেও সময় নিচ্ছে। আমরা এই প্রক্রিয়াটা সহজ করতে বলেছি।'
বৈঠকে প্রবাসী কর্মীদের জন্য বিমা ব্যবস্থা চালু করার সুপারিশ করা হয়।
এ বিষয়ে কমিটির সভাপতি বলেন, 'তাদের যদি জীবন বিমা করা থাকে তাহলে মারা যাওয়ার পর টাকা পাবেন। যদি দুর্ঘটনায় পড়েন তাহলে সুবিধা পাবেন। এমন বিষয় রাখার জন্য আমরা মন্ত্রণালয়কে পরীক্ষা করতে বলেছি। প্রবাসী কর্মীদের জীবন সুরক্ষিত করতে হবে।'
বৈঠকে প্রবাসগামী কর্মীদের বিদেশ যাত্রার খরচ কমাতে টিকিটের দাম কমাতে বাংলাদেশ বিমানের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা অব্যাহত রাখার সুপারিশ করা হয়।
এ বিষয়ে কমিটির সভাপতি বলেন, 'আমরা আগেরও বলেছিলাম, প্রবাসী কর্মীদের ১০ শতাংশ ছাড় দিতে হবে। বিমান ৫ হাজার টাকা কমাবে বলেছে। আমরা এটা নিয়ে বলেছি, যাদের স্মার্টকার্ড আছে তাদের যেন ১০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়।'
আনিসুল ইসলাম মাহমুদের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ, আয়েশা ফেরদাউস, পংকজ নাথ এবং মো. সাদেক খান অংশ নেন।
Comments