নাগপুর বিমানবন্দর থেকে যা জানালেন যাত্রীরা
ভারতের নাগপুর বিমানবন্দরে আটকে আছেন মাস্কাট-ঢাকা বিমানের ফ্লাইটের ১২৪ জন যাত্রী। আজ শুক্রবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায় ওই যাত্রীদের সঙ্গে দ্য ডেইলি স্টারের যোগাযোগ হয়।
তাদের একজন ওমানপ্রবাসী ব্যবসায়ী চট্টগ্রামের আবদুল করিম। তিনি ডেইলি স্টারকে জানান, মাস্কাট থেকে নির্ধারিত সময়ে সাড়ে চার ঘণ্টা দেরিতে ভোর সাড়ে ৬টায় ঢাকার উদ্দেশে ছাড়ে বিমানের বোয়িং ৭৩৭-৮ ফ্লাইটি।
তিনি জানান, ফ্লাইট ছাড়ার প্রায় তিন ঘণ্টা পর কেবিন ক্রুরা পাইলটের অসুস্থতার কথা জানান এবং যাত্রীদের মধ্যে কেউ চিকিৎসক আছেন কি না জানতে চান।
যাত্রীদের মধ্যে কোনো চিকিৎসক ছিল না এবং কিছুক্ষণ পর ফ্লাইটটি অবতরণের ঘোষণা দেওয়া হয় বলে জানান ব্যবসায়ী আবদুল করিম।
যাত্রীরা জানান, ফ্লাইটটি ভারতের নাগপুরে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে। একটি অ্যাম্বুলেন্স এসে পাইলটকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এক ঘণ্টা পর যাত্রীদের আন্তর্জাতিক টার্মিনালে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় ভারতের বিমানবন্দরগুলোর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় শিল্প নিরাপত্তা বাহিনী (সিআইএসএফ) সদস্যরা তাদের তল্লাশি করে। বর্তমানে যাত্রীরা টার্মিনালে সিআইএসএফের তত্ত্বাবধানে আছেন।
ওমানপ্রবাসী ব্যবসায়ী নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার আরিফুল ইসলাম জানান, যাত্রীরা সবাই সুস্থ ও নিরাপদ আছেন।
তবে, তাদের সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো ধরনের খাবার দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।
তিনি আরও জানান, একবার খাবারের জন্যে তাদের লাইনে দাঁড় করানো হলেও, শেষ পর্যন্ত খাবার দেওয়া হয়নি।
চট্টগ্রাম মিরসরাই উপজেলার মোহাম্মদ নূরুল হুদা বলেন, 'নাগপুর বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল বন্ধ থাকায় খাবারসহ সব ধরনের দোকানপাট বন্ধ আছে। তাই, খাবার কেনার সুযোগও পাচ্ছি না।'
আজ সকাল ১১টার দিকে বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজটির হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা ছিল। পথে পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ অসুস্থ হয়ে পড়ায় বিমানটি নাগপুরে জরুরি অবতরণ করে।
সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটের দিকে বিমানের একটি শিডিউল ফ্লাইটে আট সদস্যের একটি উদ্ধারকারী দল নাগপুরের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।
আটকে পড়া যাত্রীদের আজ রাতের মধ্যে ঢাকায় ফিরিয়ে আনা হতে পারে বলে জানিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস।
এজাজ মাহমুদ: ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক
Comments