কাবুল থেকে চার্টার্ড ফ্লাইটে দেশে ফেরার চেষ্টায় ১৪ বাংলাদেশি
আফগানিস্তানে আটকে পড়া ১৪ বাংলাদেশিকে আজ একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে করে দেশে ফেরানোর চেষ্টা চলছে। তাদের মধ্যে আট জন টেলিযোগাযোগ প্রকৌশলী ও তিন জন ব্র্যাকের কর্মকর্তা।
এছাড়া, চট্টগ্রাম এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের প্রায় ১৬০ জন আফগান শিক্ষার্থীরও তাদের সঙ্গে বাংলাদেশে ফেরার কথা আছে।
গতকাল তারা এই উদ্দেশে কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও গিয়েছিলেন। তবে, ফ্লাইট রেডি না হওয়ায় সেদিন তাদের ফিরে যেতে হয়।
তারা ফিরে যাওয়ার আধা ঘণ্টা পরেই আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে ৭২ জন আফগানিস্তানের নাগরিক ও ১৩ জন আমেরিকান সৈন্য নিহত হন।
দেশে ফেরার অপেক্ষায় থাকা একজন প্রকৌশলীর স্ত্রী দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, তাদের বিমানবন্দরে যেতে বলায় আজও তারা সেখানে যাচ্ছেন।
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক ওই নারী বলেন, 'আমরা এখন তাদের নিরাপদে দেশে ফেরার জন্য প্রার্থনা করছি।'
টেলিকম প্রকৌশলী রাজিব বিন ইসলামের স্ত্রী মাহফুজা রওনক দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, আফগানিস্তান থেকে তারা ফিরছেন জেনে, গত মঙ্গল ও বুধবার তিনিসহ ও অন্যান্য পরিবারের সদস্যরা ঢাকায় বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন।
তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ফ্লাইট রেডি না হওয়ায় কাবুলে আটকে পড়া বাংলাদেশিরা বিমানবন্দর থেকে চলে যাওয়ার আধা ঘণ্টা পরে কাবুল বিমানবন্দরের কাছে বিস্ফোরণটি ঘটে।'
আফগানিস্তানে মোট ২৬ জন বাংলাদেশি বসবাস করছিলেন বলে জানা গেছে। ৩১ আগস্টের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র তার সম্পূর্ণ সৈন্য প্রত্যাহার করে নেওয়ার আগেই গত ১৫ আগস্ট দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান।
২৬ জন বাংলাদেশির মধ্যে ব্র্যাকের তিন কর্মকর্তাকে গত ২২ আগস্ট জাতিসংঘের ব্যবস্থাপনায় কাজাখাস্তানে সরিয়ে নেওয়া হয়। এছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবস্থাপনায় আরও দুজন বাংলাদেশিকে কাতারে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
আফগানিস্তানে তালেবান শাসনের ভয়ে হাজারও আফগান ও বিদেশি নাগরিক দেশ ছেড়ে থেকে পালাতে শুরু করে। এরপর থেকে প্রচুর ভিড় সৃষ্টি হয় বিমানবন্দরে। অন্যদিকে, বোমা বিস্ফোরণের কারণে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানে আটকে পড়াদের সরিয়ে নিতে আজ থেকে আবারও ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে।
আজ ব্র্যাক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, 'আমরা তাদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।'
Comments